1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 28, 2025 4:08 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
সামাজিক কাজের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটিয়ে আলো ছড়াবে আলো ফাউন্ডেশন–মিনহাজ মুরশীদ কাপ্তাইয়ের  কর্ণফুলী নদী থেকে উদ্ধার সাম্বার হরিণটি মারা গেল বিলুপ্ত সাম্বল হরিণ আহত অবস্থায় উদ্ধার করল কাপ্তাই বনবিভাগ দেশের কাঁচামাল উৎপাদন বাড়িয়ে কেপিএম উৎপাদন ক্ষমতাকে বাড়াতে হবে-শিল্প উপদেষ্টা আতঙ্কে হলিউড! ব্র্যাড পিটের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি! মা’কে হত্যার দায়: মুক্তি পেয়েই মুখ খুললেন জিপসি রোজ, তোলপাড় সৃষ্টি! পাহাড়ে বাবার মৃত্যু: আসল কারণ প্রকাশ্যে! ১ ডলারের লটারি, আর নারীটি রাতারাতি কোটিপতি! ক্যাটি পেরির মঞ্চে ১২ বছরের কিশোরের স্বপ্ন সত্যি! ভাইরাল ভিডিও! আতঙ্কের আগুনে ৭০টি কুকুরের জীবন বাঁচানো হলো!

ডাইনোসর খেকো ‘ভয়ংকর কুমির’ কীভাবে হলো দানব? বিজ্ঞানীরা জানালেন!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Wednesday, April 23, 2025,

এক বিশাল, ভয়ঙ্কর সরীসৃপ যা একসময় ডাইনোসর শিকার করত, তার রহস্য উন্মোচন করেছেন বিজ্ঞানীরা। ডাইনোসর-ভুক এই প্রাণীটির আসল পরিচয় ছিল ‘সন্ত্রাসের কুমির’ (Terror Crocodile) হিসেবে।

সম্প্রতি এক গবেষণায় জানা গেছে, এই *ডাইনোসুকাস* (Deinosuchus) আসলে কুমিরের প্রজাতিভুক্ত, যা আগে মনে করা হতো তার থেকে অনেক বেশি।

প্রায় ৮০ থেকে ৭৫ মিলিয়ন বছর আগে, ক্রিটেসিয়াস যুগে উত্তর আমেরিকার নদী ও মোহনায় এদের বিচরণ ছিল। এরা ছিল বিশাল আকারের, বাসের মতো লম্বা এবং এদের দাঁত ছিল একটি কলার আকারের।

কঙ্কালের গঠন এবং জীবাশ্ম বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

আগে *ডাইনোসুকাস*কে ‘বৃহত্তর কুমির’ (Greater Alligator) হিসেবে চিহ্নিত করা হতো এবং তাদের আদি সম্পর্কের বিষয়ে গবেষণা করে এদের কুমির ও তাদের পূর্বপুরুষদের সাথে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

কিন্তু নতুন গবেষণায়, জীবিত কুমির, যেমন – কুমির ও ঘড়িয়ালের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, *ডাইনোসুকাস* কুমিরের পরিবারের অন্য একটি শাখার সদস্য।

জার্মানির টিউবিঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মার্টন রাবি বলেছেন, “এই প্রাণীটি ছিল বিশাল আকারের। সম্ভবত এর দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৮ মিটার বা ২৬ ফুটের বেশি।

গবেষণা বলছে, *ডাইনোসুকাস* লবণাক্ততা সহ্য করতে পারতো, যা তাদের কুমির প্রজাতি থেকে আলাদা করে। আধুনিক কুমিরের মতো এদেরও লবণ গ্রন্থি ছিল, যা অতিরিক্ত সোডিয়াম ক্লোরাইড সংগ্রহ করে শরীর থেকে বের করে দিত।

এই বৈশিষ্ট্যটি তাদের সেই সময়ের পরিবর্তনশীল পরিবেশে টিকে থাকতে সাহায্য করেছে। উত্তর আমেরিকার পশ্চিমাঞ্চলে একসময় বিশাল একটি সমুদ্র ছিল, যা ‘ওয়েস্টার্ন ইন্টেরিয়র সিওয়ে’ নামে পরিচিত। সম্ভবত লবণাক্ততা সহনশীলতার কারণে *ডাইনোসুকাস* এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পেরেছিল।

এই গবেষণায় আরও জানা যায়, আদি কুমিরেরা আকারে ছোট ছিল। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে যখন অন্য অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যায়, তখন কুমিরদের মধ্যে বিশাল আকার ধারণ করার প্রবণতা দেখা যায়।

ফোর্ডহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. ইভন হেক্কালা বলেছেন, “লবণাক্ততা সহনশীলতা কুমিরদের একটি পুরনো বৈশিষ্ট্য। পরিবেশগত পরিবর্তনের কারণে যখন অনেক প্রজাতি বিলুপ্তির শিকার হচ্ছিল, তখন এই বৈশিষ্ট্যটি কুমিরদের টিকে থাকতে সাহায্য করেছে।

গবেষকরা আধুনিক কুমিরের আণবিক তথ্য ব্যবহার করে কুমিরের একটি নতুন বংশলতিকা তৈরি করেছেন। এই গবেষণায় *ডাইনোসুকাস* এর বিবর্তন এবং পরিবেশের সাথে তাদের অভিযোজন সম্পর্কে নতুন ধারণা পাওয়া যায়।

তথ্য সূত্র: সিএনএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT