ফ্লোরিডার এক তরুণী, ২৫ বছর বয়সী ক্যাট্রিনা ক্যারিলো, তার প্রেমিকের নয় বছর বয়সী ছেলের ওপর শিশু নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। গত ২৩শে এপ্রিল মিয়ামি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগ উঠেছে, ছেলেটি একটি গোলাপি স্টিকি নোটে “দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন” লিখেছিল, যা ঘটনার সূত্রপাত করে।
পুলিশের তদন্তে জানা যায়, ছেলেটি অভিযোগ করেছে ক্যারিলো তাকে মাটিতে ফেলে মারধর করত এবং তার মুখ বালিশ ও কম্বল দিয়ে ঢেকে দিত, যার ফলে সে শ্বাস নিতে পারতো না। নির্যাতনের শিকার ছেলেটি ফরেনসিক ইন্টারভিউয়ারের কাছেও একই অভিযোগ করেছে।
তবে, অভিযুক্ত ক্যাট্রিনা ক্যারিলো তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ৪ঠা মার্চ, যখন ছেলেটি সাহায্য চেয়ে নোটটি লিখেছিল। এরপর, ফ্লোরিডা শিশু ও পরিবার বিভাগ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে।
২৩শে এপ্রিল, মিয়ামি পুলিশ বিভাগের সদর দফতরে গিয়ে ক্যারিলো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করেন এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করেন।
পরে, তাকে মিয়ামি-ডেড কাউন্টি কারেকশনাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার বিরুদ্ধে গুরুতর শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়। যদিও তিনি ঐদিনই ৫,০০০ মার্কিন ডলার জামিনে মুক্তি পান।
আদালত তাকে তার প্রেমিকের সন্তানদের থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে।
বর্তমানে, এই মামলার তদন্ত চলছে এবং পুলিশ জনসাধারণের কাছে কোনো তথ্য থাকলে মিয়ামি-ডেড কাউন্টি ক্রাইম স্টপার্সের সঙ্গে যোগাযোগ করার আহ্বান জানাচ্ছে।
শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানো এবং তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
যদি কেউ শিশু নির্যাতনের শিকার হন বা এমন কোনো ঘটনার সন্দেহ করেন, তাহলে সাহায্য চেয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
এক্ষেত্রে, আপনি আপনার এলাকার উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন অথবা চাইল্ড হেল্প ন্যাশনাল চাইল্ড অ্যাবিউজ হটলাইন – ১-৮০০-৪-এ-চাইল্ড (1-800-4-A-Child) অথবা ১-৮০০-৪২২-৪৪৫৩ নম্বরে ফোন করতে পারেন।
এই হটলাইনটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে এবং ১৭০টির বেশি ভাষায় সাহায্য পাওয়া যায়।
তথ্য সূত্র: পিপল