মহলার অষ্টম সিন্ফোনি: এক সহস্র কণ্ঠের ঐকতান
গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে, সঙ্গীতের এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা উপহার দিল লন্ডন ফিলহার্মোনিক অর্কেস্ট্রা (LPO)। বিশ্ববিখ্যাত সুরকার গুস্তাভ মহলারের “সিম্ফনি অফ আ থাউজেন্ড” নামে পরিচিত অষ্টম সিন্ফোনির এক মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হলো লন্ডনের সাউথ ব্যাংক সেন্টারে।
পরিচালক টম মরিসের তত্ত্বাবধানে, এডওয়ার্ড গার্ডনারের পরিচালনায় অর্কেস্ট্রা পরিবেশন করে এক অসাধারণ সঙ্গীতানুষ্ঠান।
মহলারের এই অষ্টম সিন্ফোনিটি শুধু একটি সঙ্গীত পরিবেশনা নয়, বরং এটি বিশাল সংখ্যক শিল্পী ও বাদকের এক সম্মিলিত প্রয়াস। হাজারো মানুষের অংশগ্রহণে সৃষ্ট এই ঐকতান এতটাই শক্তিশালী যে, সরাসরি উপভোগ করাই এর আসল স্বাদ।
সমালোচকদের মতে, কোনো রেকর্ডিং বা ঘরোয়া শব্দযন্ত্র এই বিশালতার গভীরতা দিতে পারে না। অনুষ্ঠানে লন্ডন ফিলহার্মোনিক কোয়ার, লন্ডন সিম্ফনি কোরাস এবং টিফিন বয়েজ কোয়ারের সম্মিলিত কণ্ঠ, যেন এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে।
বাদ্যযন্ত্রের সুনিপুণ প্রয়োগ এবং গার্ডনারের দক্ষ পরিচালনা, সব মিলিয়ে শ্রোতাদের মধ্যে তৈরি হয় এক অসাধারণ অনুভূতি।
অনুষ্ঠানে ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা যোগ করতে, টাল রোজনার ভিডিওর ব্যবহার করা হয়। তবে অনেকে মনে করেন, সঙ্গীতের গভীরতার সাথে এই ভিজ্যুয়াল উপস্থাপনা তেমন সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না।
গোয়েথে’র “ফাউস্ট” থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, ভিডিওতে কিছু দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যা মূল সঙ্গীতের গভীরতাকে খানিকটা ম্লান করে দেয়।
যাই হোক, সঙ্গীতের এই বিশাল কর্মযজ্ঞ, যা সরাসরি অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই অনুভব করা সম্ভব, তা শ্রোতাদের মন জয় করে নিয়েছে। যারা ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এটি ছিল এক স্মরণীয় অভিজ্ঞতা।
সঙ্গীতের এই ঐকতান, যা মানুষের হৃদয়ে অনুরণন তোলে, তা সত্যিই এক বিশ্বজনীন ভাষা।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান