1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 2, 2025 10:45 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
প্রশাসন মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্র আসার আহবান  কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধ্বসে দু’টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত  কাপ্তাই মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি উপজেলা কমিটির প্রশিক্ষণ  অর্থনীতির স্বয়ংক্রিয় হৃৎপিণ্ড বিদেশিদের কাছে হস্তান্তর অযৌক্তিক এবং ঝুঁকিপূর্ণ—ক্যাপ্টেন রেদওয়ান সিকদার কাউখালীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রেঞ্চ বিতরণ অনুষ্ঠিত কাপ্তাইয়ের কেপিএম এ শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন   ছাতকে মাদক দ্রব্য বিক্রেতার বিরুদ্ধে কথা বলায় হামলা সাংবাদিক সহ আহত ৫ কাপ্তাই-চট্টগ্রাম ওয়াই সি এল পরিবহণ উদ্বোধন বিখ্যাত গায়িকার কনসার্টে নাচতে গিয়ে বিপাকে, হারালেন চুল! বোনের স্বামীর পছন্দের পোশাক নিয়ে মন্তব্যের জেরে ‘পিক-মি’ তকমা! সন্তান জন্ম: স্যাম অল্টম্যানের জীবনে এলো ‘বিস্ময়কর পরিবর্তন’!

দাদী: ফ্যাসিবাদ বিরোধী এক বিপ্লবী নারী!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Monday, April 28, 2025,

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইতালির ফ্যাসিবাদবিরোধী নারী যোদ্ধাদের নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে নিজের দাদীর জীবনের এক নতুন দিক খুঁজে পেয়েছেন একজন মার্কিন লেখিকা। লেখক সুজান কোপ-এর মতে, তাঁর দাদী, যিনি ইতালির এক সময়কার স্বৈরশাসক মুসোলিনির শাসনের শিকার হয়েছিলেন, তিনিও ছিলেন একজন নীরব যোদ্ধা।

ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো নারীদের গল্প শুনে তিনি উপলব্ধি করেন, তাঁর দাদীর মধ্যে থাকা নারী অধিকারের প্রতি সমর্থন এবং রাজনৈতিক সচেতনতার জন্ম সম্ভবত সেই সময়ের প্রতিকূল পরিবেশ থেকেই হয়েছিল।

সুজান কোপ-এর নতুন বই ‘ওমেন অফ ওয়ার’-এর জন্য তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তিনি ইতালির ফ্যাসিবাদবিরোধী যোদ্ধা লিডিয়ার সঙ্গে পরিচিত হন।

লিডিয়া ছিলেন সেই নারীদের একজন, যাঁরা জার্মান নাৎসিদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আন্দোলনে অংশ নিয়েছিলেন। লিডিয়ার সেই সময়ের কথা বলতে গিয়ে সুজান জানান, কিভাবে তিনি জীবন বাজি রেখে নিজের সহযোদ্ধাদের বাঁচিয়েছিলেন।

বন্দুক হাতে সাইকেলে চড়ে নাৎসি সৈন্যদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনা লেখকের মনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। কারণ, লিডিয়া এবং তাঁর দাদী দুজনেই ১৯২০ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।

ফ্যাসিবাদী শাসনের অধীনে ইতালিতে নারীদের জীবন কেমন ছিল, সে সম্পর্কে গবেষণা করতে গিয়ে সুজান জানতে পারেন, মুসোলিনির আমলে নারীদের অধিকার খর্ব করা হয়েছিল।

নারীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ সীমিত করা হয়েছিল, এমনকি কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের কাজের সুযোগও কমিয়ে দেওয়া হয়। নারীদের লম্বা পোশাক পরতে এবং মাতৃত্বের ওপর জোর দিতে উৎসাহিত করা হতো।

এছাড়াও, যারা এই নিয়ম মানতে রাজি হতো না, তাঁদের কারারুদ্ধ করা হতো।

লেখকের দাদী, আসুন্তা মারিয়া (আমেরিকায় যিনি সুজান নামে পরিচিত) ছিলেন অত্যন্ত সহানুভূতিশীল একজন মানুষ।

ইতালীয় এবং সিসিলীয় ভাষায় তাঁর ভালো জ্ঞান ছিল। তিনি তাঁর প্রতিবেশীদের চিঠি পড়া এবং অনুবাদ করতে সাহায্য করতেন।

সুজানের মতে, তাঁর দাদী সবসময়ই সমাজের অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। ইতালীয় ভাষায় কথা বলার কারণে যারা তাঁকে ব্যঙ্গ করত, তাদের বিরুদ্ধে তিনি রুখে দাঁড়িয়েছিলেন।

সুজানের দাদী আমেরিকায় এসেও নারী অধিকার এবং রাজনৈতিক ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই চালিয়ে যান।

স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতেন, কারণ তিনি জানতেন ইতালির তাঁর পরিবার এবং বন্ধুরা তাঁদের জীবন বাজি রেখে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলেন, তার মূল্য অনেক।

তিনি তাঁর মেয়েকে (সুজানের মা) ছোটবেলা থেকেই রাজনৈতিক সচেতনতা এবং অধিকার সম্পর্কে শিক্ষা দিতেন। সুজানের মতে, তাঁর দাদীর এই শিক্ষা তাঁকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

সুজান তাঁর দাদীর কাছ থেকে পাওয়া অনুপ্রেরণা এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী নারীদের আত্মত্যাগের কথা তুলে ধরে বলেন, তিনি তাঁর উত্তরাধিকার বহন করছেন এবং সমাজের জন্য কাজ করে যেতে চান।

তিনি বিশ্বাস করেন, এই নারীদের গল্প বলা এবং তাঁদের আদর্শকে অনুসরণ করাই তাঁর আসল পরিচয়।

তথ্য সূত্র: পিপল

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT