বিখ্যাত ব্যান্ড ডির স্ট্রেইটসের (Dire Straits) ‘মানি ফর নাথিং’ গানটির জন্মকথা!

নব্বইয়ের দশকে যারা গান শুনতেন, তাদের কাছে ডির স্ট্রেইটস ব্যান্ডের ‘মানি ফর নাথিং’ গানটি আজও বেশ পরিচিত। গানটি তৈরি হওয়ার পেছনে রয়েছে এক মজাদার গল্প।

ব্যান্ডের প্রধান শিল্পী মার্ক নফলারের (Mark Knopfler) কথায় জানা যায়, নিউইয়র্কের একটি ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে কাজ করা এক ডেলিভারি ম্যানের মুখ থেকে এই গানের কথাগুলো এসেছিল।

মার্ক নফলারের ভাষায়, “আমি তখন নিউইয়র্কের একটি ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে গিয়েছিলাম। সেখানে থাকা সব টিভিতে এমটিভি (MTV) চলছিল।

আমি শুনি, একজন লোক, যিনি সম্ভবত দোকানের কর্মচারী ছিলেন, টেলিভিশনের রকস্টারদের নিয়ে কথা বলছেন। তিনি বলছিলেন, ‘ওই বেটা নিজের প্রাইভেট জেট প্লেন কেনে!’ আরও বলেছিলেন, ‘সে শিম্পাঞ্জির মতো বাজাচ্ছে!’ তার কথা বলার ধরনটা আমার খুব ভালো লেগেছিল।”

নফলার জানান, সেই কথাগুলোই তার মাথায় গেঁথে যায়। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে একটি কাগজ ও কলম চেয়ে নিয়ে গানের কথা লেখা শুরু করেন।

এই গানের জন্ম যে এত সহজে, তা হয়তো অনেকের ধারণাই ছিল না।

পরে যখন গানটি রেকর্ড করা হয়, তখন নফলারের মনে হয়েছিল, যদি স্টিং (Sting) গানটিতে কণ্ঠ দেন, তাহলে দারুণ হবে।

সেই সময়ে খবর পাওয়া যায়, স্টিং ছুটি কাটাতে কাছাকাছি কোথাও এসেছেন। এরপর তিনি স্টুডিওতে আসেন এবং গানের অংশে কণ্ঠ দেন।

গানটির সাফল্যের পেছনে ছিল আরও কিছু বিষয়।

যেমন, শুরুতে গানের ‘আই ওয়ান্ট মাই এমটিভি’ লাইনটি এসেছে একটি পুরোনো সুর থেকে।

ডির স্ট্রেইটসের ‘ব্রাদার্স ইন আর্মস’ অ্যালবামটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

গানটি রেকর্ড করার সময় অপ্রত্যাশিতভাবে একটি মাইক্রোফোন নিচে পড়ে যায়, যার ফলে শব্দের ধরনে পরিবর্তন আসে, যা গানটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

তবে, সাফল্যের শিখরে আরোহণের পর খ্যাতি তাদের জীবনে অন্যরকম প্রভাব ফেলেছিল।

ব্যান্ডের অন্য সদস্য জন ইলসলি (John Illsley) জানান, “আমরা অনেক বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করেছি।

কিন্তু বাইরের জগৎ আমাদের অন্যভাবে দেখত। তাদের ধারণা ছিল, যেন আমরা বিনা পরিশ্রমে সবকিছু পাচ্ছি।”

যদিও এত সাফল্যের পরেও, খ্যাতি তাদের ভালো লাগেনি।

তাই এক সময় তারা দল ভাঙার সিদ্ধান্ত নেন।

ডির স্ট্রেইটসের ‘ব্রাদার্স ইন আর্মস’ অ্যালবামটি সম্প্রতি ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নতুন করে বাজারে এসেছে।

যারা পুরনো দিনের গান ভালোবাসেন, তাদের জন্য এটি দারুণ একটি সুযোগ।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান