একটা নতুন টেলিভিশন সিরিজের মাধ্যমে, ফ্যাশন জগতের পরিচিত দুই মুখ, ক্লিন্টন কেলি এবং স্টেসি লন্ডন আবার একসঙ্গে কাজ করতে চলেছেন। তাঁদের নতুন এই অনুষ্ঠানটির নাম ‘ wear whatever the f you want’। এই অনুষ্ঠানে দর্শকদের নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী পোশাক পরার স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
জনপ্রিয় ‘হোয়াট নট টু ওয়্যার’ (What Not to Wear) অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খ্যাতি পাওয়া এই দুই তারকা, তাঁদের পুরনো ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন আঙ্গিকে দর্শকদের সামনে আসছেন।
দীর্ঘ ১০ বছর ধরে, ক্লিন্টন কেলি এবং স্টেসি লন্ডন তাঁদের পুরোনো টেলিভিশন শো-তে পোশাক নিয়ে দর্শকদের পরামর্শ দিতেন। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাঁদের ফ্যাশন বিষয়ক ধারণাতেও পরিবর্তন এসেছে।
স্টেসি লন্ডনের মতে, এখনকার সময়ে মানুষজন তাঁদের শরীর এবং লিঙ্গপরিচয় নিয়ে অনেক বেশি খোলামেলা। আগেকার দিনের মতো, কাউকে জোর করে কোনো পোশাক পরতে বলার ধারণার এখন আর কোনো অবকাশ নেই।
ক্লিন্টন কেলি মজা করে বলেন, ‘হোয়াট নট টু ওয়্যার’ ছিলো ১০ বছরের ‘ক্রিঞ্জ’। তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা দুজনেই নারী বিষয়ক ম্যাগাজিন শিল্প থেকে এসেছি, যেখানে প্রত্যেক নারীকে লম্বা এবং রোগা দেখানোর একটা প্রবণতা ছিলো।
আমি তো ১০ বছর ধরে মেয়েদের কীভাবে তাঁদের নিতম্ব ছোট দেখাবে, সেই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি। অথচ এখন সবাই তাঁদের নিতম্বকে বড় দেখাতে চায়।”
নতুন এই অনুষ্ঠানে, কেলি এবং লন্ডন তাঁদের দর্শকদের নিজস্ব স্টাইল খুঁজে পেতে সাহায্য করবেন। স্টেসি বলেন, “আমরা তাঁদের পছন্দের পোশাক পছন্দ নাও করতে পারি, তবে আমরা তাঁদের সঠিক পথে চালিত করতে চাই।
আমাদের মনে রাখতে হবে, এটা আমাদের বিষয় নয়, বরং দর্শকদের নিজেদের বিষয়।”
স্টেসি লন্ডনের মতে, ‘ wear whatever the f you want’ অনুষ্ঠানটি ‘হোয়াট নট টু ওয়্যার’ -এর চেয়ে অনেক বেশি অর্থবহ। কারণ, এখনকার দিনে ফ্যাশন নিয়ে মানুষের ধারণা অনেক বদলেছে।
এখনকার দর্শক, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কারণে ফ্যাশন সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন।
ক্লিন্টন কেলি মনে করেন, এই অনুষ্ঠানে তাঁরা অন্যদের জীবনের প্রতি সম্মান জানাবেন। তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো পোশাক আপনাকে খুশি করে, তাহলে বুঝতে হবে, আপনার জীবনের অভিজ্ঞতাই আপনাকে সেই জায়গায় এনেছে।
সবার জীবন তো এক রকম নয়, তাই না? এটা বেশ দারুণ।”
ক্লিন্টন কেলি এবং স্টেসি লন্ডন দুজনেই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনেও অনেক পরিবর্তন এনেছেন। স্টেসি লন্ডন জানান, তিনি এখন আর আগের মতো উঁচু হিলের স্যান্ডেল পরেন না।
তাঁর বাতের সমস্যা রয়েছে, তাই তিনি এখন প্যান্ট, স্যুট এবং জাম্পস্যুট পরতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ক্লিন্টন কেলি জানিয়েছেন, তিনি এখন আর অন্যদের কথা তেমন একটা ভাবেন না।
অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে দর্শকদের, তাঁদের স্বপ্ন এবং আকাঙ্খাগুলো পূরণ করতে উৎসাহিত করা হবে। ক্লিন্টন কেলি মনে করেন, মানুষের আশা-আকাঙ্খা এবং দুর্বলতাগুলো সবার কাছেই প্রায় একই রকম।
তাই এই অনুষ্ঠানে আসা আটজন মানুষের জীবনযাত্রা দেখে, দর্শক তাঁদের নিজেদের জীবনকেও নতুনভাবে সাজাতে উৎসাহিত হবেন।
‘ wear whatever the f you want’ অনুষ্ঠানটি ২৯ এপ্রিল থেকে প্রাইম ভিডিওতে দেখা যাবে।
তথ্য সূত্র: পিপল