মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স (MCU)-এর সিনেমাগুলো সারা বিশ্বে, বিশেষ করে আমাদের বাংলাদেশে, খুবই জনপ্রিয়। স্পাইডার-ম্যান, আয়রন ম্যান বা ক্যাপ্টেন আমেরিকার মতো সুপারহিরোদের নিয়ে সিনেমাগুলো শুধু বিনোদনই দেয় না, বরং তাদের গল্পগুলো আমাদের জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলে।
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘থান্ডারবোল্টস*’ তেমনই একটি সিনেমা, যা মার্ভেল-এর জগৎ-এ নতুনত্বের ছোঁয়া নিয়ে এসেছে।
সিনেমাটি মূলত কিছু খলনায়ক এবং অ্যান্টি-হিরোদের (যারা ভালো ও খারাপের মাঝে অবস্থান করে) নিয়ে গঠিত। এই দলে আছেন ফ্লোরেন্স পিউ-এর ইয়েলেনা বালোভা, ডেভিড হারবার-এর রেড গার্জিয়ান, ওয়াইয়াট রাসেল-এর জন ওয়াকার, হান্না জন-ক্যামেন-এর ঘোস্ট এবং সেবাস্তিয়ান স্ট্যান-এর বাকি বার্নস-এর মতো চরিত্ররা।
এই চরিত্রগুলো তাদের অতীতের ভুলগুলো থেকে মুক্তি পেতে চায়। তাদের এই যাত্রাটাই সিনেমার মূল বিষয়।
সিনেমাটিতে ইয়েলেনা বালোভার চরিত্রে ফ্লোরেন্স পিউ-এর অভিনয় বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। সমালোচকদের মতে, তিনিই এই সিনেমার আসল আকর্ষণ। তার অভিনয় এতটাই শক্তিশালী যে, সিনেমার দুর্বলতাগুলোও তিনি একাই সামলেছেন।
ইয়েলেনা চরিত্রের ভেতরের জটিলতা, মানসিক দ্বন্দ্ব এবং হাস্যরস—সবকিছুই তিনি দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। সিনেমার গল্পে, তিনি একটি মিশনে অংশ নেন যেখানে তাকে অন্যান্য সহকর্মীদের বিরুদ্ধে কাজ করতে হয়।
‘থান্ডারবোল্টস*’ সিনেমাটি মার্ভেলের অন্যান্য সিনেমার থেকে কিছুটা আলাদা। এখানে অ্যাকশন দৃশ্যগুলোর চেয়ে চরিত্রগুলোর মানসিক দ্বন্দ্বের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।
তাদের অতীতের ভুলের কারণে তারা নিজেদের সঙ্গে লড়াই করে। সিনেমাটি মানসিক স্বাস্থ্য এবং মানুষের ভেতরের লড়াইয়ের মতো বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে, যা দর্শকদের কাছে নতুন এক অভিজ্ঞতা যোগ করে।
সিনেমাটির দুর্বলতাও রয়েছে। গল্পের কিছু জায়গায় দুর্বলতা এবং কিছু দৃশ্যে তাল কেটে যাওয়ার মতো বিষয় চোখে পড়ে। তবে মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের অন্য সিনেমার তুলনায় এটি বেশ আকর্ষণীয়।
বিশেষ করে যারা মার্ভেল-এর সিনেমা ভালোবাসেন, তাদের ভালো লাগবে।
সব মিলিয়ে, ‘থান্ডারবোল্টস*’ মার্ভেলের দর্শকদের জন্য একটি উপভোগ্য সিনেমা হতে পারে। ফ্লোরেন্স পিউ-এর অসাধারণ অভিনয়, সিনেমার নতুন গল্প এবং অ্যান্টি-হিরোদের চরিত্রগুলো দর্শকদের মন জয় করবে।
যারা মার্ভেলের সিনেমা ভালোবাসেন, তারা এটি দেখতে পারেন।
আমার রেটিং: ৩.৫/৫
তথ্য সূত্র: The Guardian