আঠারো বছর আগে আরুবার সমুদ্র সৈকতে নিখোঁজ হয়েছিলেন নাতালি হলোওয়ে। তাঁর অন্তর্ধানেরহয়ে ওঠারহয়েছিল নাতালি হলোওয়ের। তাঁর বাবা-মা, বেথ হলোওয়ে এবং ডেভ হলোওয়ে, তাঁদের মেয়ের স্মৃতি আজও বয়ে বেড়াচ্ছেন। মেয়ের মৃত্যুরহয়ে যায়।
ডেভ ও বেথ দুজনেই তাঁদের মেয়ের সন্ধানে বছরের পর বছর কাটিয়েছেন, কখনো একা, কখনোবা পুলিশের সঙ্গে।
১৯৯৫ সালে ডেভ দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তাঁর নতুন সংসার শুরু হয়, এবং সেখানে ব্রুক ও ক্যাটলিন নামের দুটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।
অন্যদিকে, বেথ একাই নাতালি ও তাঁর ছেলেকে নিয়ে আলাবামায় বসবাস করতে শুরু করেন। ২০১৬ সালে বেথ, জন র্যামসির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন, জন ছিলেন নিহত কিশোরী জনবেনেট র্যামসির বাবা।
যদিও সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি, তাঁরা বন্ধু হিসেবে একসঙ্গে ছিলেন।
নাতালির মৃত্যুরহয়েছিল। এই ঘটনায় বেথ এবং ডেভের জীবনে নেমে আসে চরম বিপর্যয়।
বেথ তাঁর মেয়ের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ শুরু করেন। তিনি বিভিন্ন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এবং একটি আত্মজীবনীও লেখেন, যেখানে নাতালির জীবন ও তাঁর অন্তর্ধানের কারণগুলো তুলে ধরা হয়।
ডেভ নাতালির স্মৃতিচারণ করে বলেন, তাঁর নাতি-নাতনি আসায় তিনি কিছুটা হলেও শান্তি খুঁজে পেয়েছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবরে, জুরান ভ্যান ডের স্লোট, যিনি নাতালির সঙ্গে শেষবার দেখা গিয়েছিলেন, অবশেষে তাঁর মেয়ের হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এই স্বীকারোক্তির পর বেথ বলেছিলেন, “আমার অন্তহীন দুঃস্বপ্ন শেষ হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “এই না জানার চেয়ে জানা ভালো।”
এই ঘটনার কুড়ি বছর পর, নাতালির শোকাহত বাবা-মা তাঁদের মেয়ের স্মৃতিকে সাথে নিয়ে, তাঁদের জীবন অতিবাহিত করছেন।
তাঁরা তাঁদের মেয়ের বিচার চেয়েছেন এবং তাঁদের জীবনে আসা এই কঠিন সময়ের মোকাবিলা করেছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল