1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 1, 2025 10:28 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
প্রশাসন মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্র আসার আহবান  কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধ্বসে দু’টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত  কাপ্তাই মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি উপজেলা কমিটির প্রশিক্ষণ  অর্থনীতির স্বয়ংক্রিয় হৃৎপিণ্ড বিদেশিদের কাছে হস্তান্তর অযৌক্তিক এবং ঝুঁকিপূর্ণ—ক্যাপ্টেন রেদওয়ান সিকদার কাউখালীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রেঞ্চ বিতরণ অনুষ্ঠিত কাপ্তাইয়ের কেপিএম এ শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন   ছাতকে মাদক দ্রব্য বিক্রেতার বিরুদ্ধে কথা বলায় হামলা সাংবাদিক সহ আহত ৫ কাপ্তাই-চট্টগ্রাম ওয়াই সি এল পরিবহণ উদ্বোধন বিখ্যাত গায়িকার কনসার্টে নাচতে গিয়ে বিপাকে, হারালেন চুল! বোনের স্বামীর পছন্দের পোশাক নিয়ে মন্তব্যের জেরে ‘পিক-মি’ তকমা! সন্তান জন্ম: স্যাম অল্টম্যানের জীবনে এলো ‘বিস্ময়কর পরিবর্তন’!

বিস্ময়কর! উদ্বাস্তু জীবন ও ব্রিটেনের পরিবর্তনে নতুন আলো!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Wednesday, April 30, 2025,

শিরোনাম: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ব্রিটেন: অভিবাসীদের সংস্কৃতিতে নতুন দিগন্ত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে, ইউরোপ থেকে আসা অভিবাসীরা কীভাবে ব্রিটেনের সংস্কৃতিতে গভীর প্রভাব ফেলেছিল, সেই গল্প তুলে ধরেছেন লেখক ওয়েন হ্যাদারলি তাঁর নতুন বই “দ্য এলিয়েনেশন এফেক্ট”-এ। বইটিতে লেখক দেখিয়েছেন, এই অভিবাসীরা শুধুমাত্র ব্রিটেনে আশ্রয়ই নেননি, বরং দেশটির শিল্প, স্থাপত্য এবং চিন্তাধারায় এনেছিলেন এক নতুন পরিবর্তন।

যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউরোপ থেকে আসা এই মানুষগুলো, যাদের মধ্যে ছিলেন শিল্পী, স্থপতি, লেখক এবং চিন্তাবিদ, তাঁরা শুরুতে হয়তো কিছুটা প্রতিকূলতার শিকার হয়েছিলেন। অনেকেই “শত্রু” হিসেবে চিহ্নিত হয়ে অন্তরীণও হয়েছিলেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ব্রিটিশ সমাজে নিজেদের স্থান করে নেন এবং দেশটির সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেন।

হ্যাদারলি তাঁর বইয়ে তাঁদের অবদানগুলো তুলে ধরেছেন, যা ব্রিটিশ সমাজের চোখে হয়তো সেভাবে ধরা পড়েনি।

বইটিতে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়েছে, কীভাবে এই অভিবাসীরা ব্রিটেনের স্থাপত্যে নতুনত্ব এনেছিলেন। “ব্রুটালিজম” স্থাপত্যশৈলীর কথা এখানে উল্লেখ করা হয়েছে, যা কংক্রিট এবং জ্যামিতিক আকারের ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচিত।

এই ধরনের স্থাপত্যে তাঁদের অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য। শুধু স্থাপত্য নয়, চলচ্চিত্র এবং প্রকাশনা জগতেও তাঁদের প্রভাব ছিল গভীর।

লেখক নিকোলাস পেভসনারের কথা উল্লেখ করে হ্যাদারলি দেখিয়েছেন, কীভাবে বাইরের মানুষ হিসেবে এই অভিবাসীরা ব্রিটিশ সংস্কৃতিকে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পেরেছিলেন।

পেভসনারের বিখ্যাত উক্তি, “Neither English-born nor English-bred” -এর মাধ্যমে লেখক বুঝিয়েছিলেন, বহিরাগতরা প্রায়ই সমাজের লুকানো দিকগুলো সহজে উপলব্ধি করতে পারেন।

বইটিতে কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যক্তির কথাও উঠে এসেছে। এদের মধ্যে ছিলেন স্থপতি বেরথোল্ড লুবেটকিন এবং আর্ন গোল্ডফিংগার।

হ্যাদারলি তাঁদের বিপ্লবী চিন্তাভাবনার কথা তুলে ধরেছেন, যা ব্রিটিশ সমাজের চিরাচরিত ধারণাকে ভেঙে দিতে সাহায্য করেছিল।

তবে, হ্যাদারলি কিছু সমালোচনারও শিকার হয়েছেন।

তিনি কিছু ক্ষেত্রে অভিবাসীদের কাজের মূল্যায়ন করতে গিয়ে কঠোর মন্তব্য করেছেন। যেমন, আলোকচিত্রী বিল ব্র্যান্ডের “অতিরিক্ত অ্যাংলোফিলিয়া” এবং শিল্পী আর্নস্ট গুমব্রিখের “ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের অভাব”-এর সমালোচনা করেছেন তিনি।

মোটকথা, “দ্য এলিয়েনেশন এফেক্ট” বইটি শুধু অভিবাসন এবং সাংস্কৃতিক প্রভাবের একটি গল্প নয়, বরং এটি পরিবর্তনের একটি দলিল।

এটি বুঝিয়ে দেয়, কীভাবে ভিন্ন সংস্কৃতি থেকে আসা মানুষজন একটি সমাজের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। বইটিতে ব্রিটেনের সংস্কৃতিতে অভিবাসীদের অবদানগুলো নতুন করে মূল্যায়ন করা হয়েছে, যা বর্তমান বিশ্বের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক।

তথ্যসূত্র: The Guardian

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT