মোঃ মেহেদী হাসান,কাউখালী।
পিরোজপুরের কাউখালীতে “দক্ষ যুব গড়বে দেশ,বৈষম্যহীন বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরাধীন টেকাব (২য় পর্যায়ে) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায়, ২ মাস ব্যাপী ভ্রাম্যমান বেসিক কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং প্রশিক্ষণ কোর্স সমাপনীর, সনদপত্র বিতরণ করা হয়।
৩০শে এপ্রিল (বুধবার) সকাল ১০ঃ৩০ ঘটিকার সময় পিরোজপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ মমিনুল হক বকাউল এর সভাপতিত্বে, স্বাগত বক্তব্য রাখেন, অনুষ্ঠানটির বিশেষ অতিথি ও কাউখালী উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস. এম. জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন,দেশের বেকারত্বের কথা বিবেচনা করে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, বেকার যুব সমাজকে কর্মমুখী করার জন্য নানামুখী প্রকল্প গ্রহণ করে থাকেন, এরই ধারাবাহিকতায় কাউখালীতে কম্পিউটার বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রশিক্ষণটি এলাকার বেকার যুব সমাজকে কর্মক্ষম এবং উদ্দ্যেক্তা হতে অগ্রনী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।
আমন্ত্রিত প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বজল মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, গত ২রা মার্চ রবিবার কাউখালী উপজেলার ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী বেকার শিক্ষার্থীদের,বেকারত্ব দূরীকরণ ও নিজেকে স্বাবলম্বী করতে ভ্রাম্যমান বেসিক কম্পিউটার ও নেটওয়ার্কিং প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়েছিল। আজকের এই সমাপনী দিনে প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশ্যে আমার একটাই প্রত্যাশা থাকবে আর সেটা হল, তারা এই প্রশিক্ষণ থেকে যতটুকু জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছে, সেটার যেন বাস্তব প্রতিফলন ঘটে, তাহলেই প্রশিক্ষণ সার্থক হবে বলে আমি মনে করি। তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকটি প্রশিক্ষনার্থী যদি তাদের প্রশিক্ষণ লব্ধ জ্ঞান, তাদের বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে ছড়িয়ে দেন, তাহলে আমাদের সমাজের,বিশেষ করে শিক্ষিত বেকার যুবকদের একটি অংশ উপকৃত হবেন এবং নিজেকে নিজেই স্বাবলম্বী করতে পারবেন।
অনুষ্ঠানটির সভাপতি মোঃ মমিনুল হক বকাউল বলেন,সরকার যুব সমাজকে কর্মক্ষম করতে গবাদি পশু ও হাঁস মুরগি পালন, মৎস্য চাষ সহ
বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন এবং সেই সাথে এসব প্রশিক্ষনার্থীদের সহজ শর্তে ঋণ ও প্রদান করে থাকেন। প্রশিক্ষনার্থীগণ এ ধরনের প্রশিক্ষণ এবং ঋণ নিয়ে নিজেকে নিজে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারেন। আমরা সব সময় আপনাদের পাশেই আছি। উপজেলার ৩ নং সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রশিক্ষণটি কাউখালীর বেকার যুবকদের জন্য সুফল বয়ে আনবে,তাই এ প্রশিক্ষণটি উপজেলায় একাধিকবার হওয়ার প্রয়োজন।
কোর্স পরিচালক ও প্রশিক্ষক মোঃ ফারুক আহমেদ রিজভী,বলেন সর্বমোট ৪০ জন প্রশিক্ষনার্থী উক্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছিলেন। প্রশিক্ষণ শেষে একটি মূল্যায়ন পরীক্ষা নেয়া হয় এবং উক্ত পরীক্ষায় ১৬ জন “এ প্লাস”, ১৭ জন “এ” গ্রেট এবং ৭ জন “বি” গ্রেডের দক্ষতা অর্জন করেন। মেধা তালিকায় মুন্না হালদার প্রথম স্থান এবং উর্মী খান দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
পরবর্তীতে প্রশিক্ষনার্থীদের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সনদপত্র এবং টিএ,ডিএ প্রদান করা হয়।
অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোঃ এনামুল হক এবং মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কাউখালী উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ মেহেদী হাসান।
অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা ও সঞ্চালনায় ছিলেন মোঃ মজিবুর রহমান।