কলকাতা শহরের একটি হোটেলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুজন শিশুও রয়েছে। স্থানীয় সময় অনুযায়ী, গত ২৯শে এপ্রিল রাতে কলকাতার রিতুরাজ হোটেলে আগুন লাগে।
খবর অনুযায়ী, আগুন লাগার আট ঘণ্টা পর তা নিয়ন্ত্রণে আসে।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, একজন নারী এবং ১০ ও ৩ বছর বয়সী দুটি শিশু রয়েছে। এছাড়া, হোটেলের জানালা দিয়ে ঝাঁপ দেওয়ার সময় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
ঘটনার সময় হোটেলটিতে প্রায় ৮৮ জন অতিথি ছিলেন এবং সেখানে ৪২টি কক্ষ ছিল।
কলকাতা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত আটজন মৃতের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। মৃতদের মধ্যে চেন্নাই থেকে আসা একই পরিবারের তিনজন সদস্যও রয়েছেন।
খবর অনুযায়ী, আগুন লাগার পর ১৩ জন আহত হন এবং তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে বর্তমানে একজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এছাড়া, মুম্বাই থেকে আসা শ্যাম নামের এক অতিথি তার কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন। অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা প্রায় চার ঘণ্টা পর তাকে জীবিত উদ্ধার করেন।
কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম এই ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং যারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।
রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও অগ্নিকাণ্ডের জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষের অগ্নি নিরাপত্তা বিধিনিষেধ না মানার বিষয়টিকে দায়ী করেছেন।
তিনি জানান, “পুরো ভবনটি কাঁচ দিয়ে মোড়া ছিল। আগুন ও ধোঁয়ার বের হওয়ার কোনো পথ ছিল না, যার কারণে অতিথিরা শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়েন। দমকলকর্মীদের ভেতরে প্রবেশ করতে ভারী কাঁচ ভাঙতে হয়েছে।
মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলকাতা পুলিশ এই অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠন করেছে এবং তারা হোটেল মালিকের সন্ধান করছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস