বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী নাওমি জুডের আত্মহত্যার ঘটনার তিন বছর পর, তাঁর পরিবার সেই শোকের স্মৃতিচারণা করছে। এই ঘটনায় সবচেয়ে বেশি কাছাকাছি এসেছেন নাওমির দুই মেয়ে, উইনোনা ও অ্যাশলে জুড।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নাওমির স্বামী ল্যারি স্ট্রিকল্যান্ড এই কথা জানিয়েছেন।
২০২২ সালের ৩০শে এপ্রিল, ৭৬ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন নাওমি জুড।
ল্যারি স্ট্রিকল্যান্ড জানান, এই ট্র্যাজেডির পর শোকের সময়ে অ্যাশলে এবং উইনোনা একে অপরের আরও কাছাকাছি এসেছেন। “এই কঠিন সময়ে আমরা সবাই একসঙ্গে এসেছিলাম, যেন জীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম,” তিনি বলেন।
ল্যারি আরও যোগ করেন, “নাওমি চলে যাওয়ার পরে, আমাদের সকলের, বিশেষ করে অ্যাশলে এবং উইনোনার মধ্যে গভীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, তারাই এখন নাওমির স্মৃতি বহন করছে, যাদের সঙ্গে আমার এখনও গভীর সম্পর্ক রয়েছে।”
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, আগামী ১০ ও ১১ই মে, লাইফটাইম চ্যানেলে প্রচারিত হতে যাচ্ছে একটি নতুন তথ্যচিত্র – ‘দ্য জুড ফ্যামিলি: ট্রুথ বি টোল্ড’। এই তথ্যচিত্রে, অ্যাশলে ও উইনোনা তাঁদের মা নাওমির সঙ্গে কাটানো জীবনের নানা দিক তুলে ধরবেন।
তাঁদের শৈশব, তারকাখ্যাতি এবং মা ও মেয়ের সম্পর্কের জটিলতা—সবকিছুই দর্শকদের সামনে আসবে।
তথ্যচিত্রটিতে আরও দেখা যাবে, নাওমির জীবনের অজানা গল্প, যা আগে কখনও শোনা যায়নি।
তথ্যচিত্রে ল্যারি স্ট্রিকল্যান্ড ছাড়াও, জুড পরিবারের ঘনিষ্ঠ সদস্যরা তাঁদের কথা বলবেন।
এছাড়াও, পারিবারিক ভিডিও এবং আগে প্রকাশ না হওয়া গান ও অডিও শোনা যাবে।
এই তথ্যচিত্রটি পরিচালনা করেছেন অ্যালেক্সান্ড্রা ডিন।
মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক সমস্যা নিয়ে কারও সাহায্য প্রয়োজন হলে, অথবা আত্মহত্যার চিন্তা করলে, দেরি না করে ৯৮৮ নম্বরে ফোন করে সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। অথবা, যেকোনো ক্রাইসিস টেক্সট লাইনে “STRENGTH” লিখে ৭৪১৭১৪ নম্বরে মেসেজ করা যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল ম্যাগাজিন