গিনেথ প্যালট্রো, হলিউডের একজন সুপরিচিত অভিনেত্রী, সম্প্রতি তার অতীতের একটি আইনি লড়াই নিয়ে মুখ খুলেছেন। ২০১৬ সালে ইউটাহ-এর একটি স্কি ঢালে ঘটে যাওয়া একটি দুর্ঘটনার জেরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
এই মামলার স্মৃতিচারণ করে তিনি একে ‘হাস্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন।
২০১৬ সালের স্কি দুর্ঘটনার পর টেরি স্যান্ডারসন নামে একজন ব্যক্তি প্যালট্রোর বিরুদ্ধে ৩.১ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের মামলা করেন। স্যান্ডারসনের অভিযোগ ছিল, প্যালট্রোর অসাবধানতার কারণে তিনি আহত হয়েছেন।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে প্যালট্রো পাল্টা ১ ডলার ক্ষতিপূরণ এবং আইনি খরচ চেয়ে পাল্টা মামলা করেন। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে পার্ক সিটি-র একটি জুরি প্যানেল রায় দেয় যে, এই দুর্ঘটনার জন্য স্যান্ডারসনই ছিলেন শতভাগ দায়ী। ফলে প্যালট্রোর পক্ষেই রায় আসে।
সম্প্রতি ‘দ্য ওয়ার্ল্ডস ফার্স্ট’ পডকাস্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্যালট্রো এই মামলাটি নিয়ে কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি মনে করি, একজন এসে আপনার পিছনে ধাক্কা মারবে এবং তারপর আপনার বিরুদ্ধেই মামলা করবে, এই ধারণাটা আমাদের বিচার ব্যবস্থার ভুল দিকগুলো তুলে ধরে।”
মামলা চলাকালীন সময়ে তার পোশাক নিয়েও অনেকে আলোচনা করেছিলেন। সেই প্রসঙ্গে প্যালট্রো বলেন, “আমি মনে করি, এই ঘটনার বিরুদ্ধে আমার লড়াই করা উচিত ছিল। আমি চুপ করে থাকতে রাজি ছিলাম না।”
রায়ের পর প্যালট্রোকে স্যান্ডারসনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। তিনি তাকে “শুভকামনা” জানিয়েছিলেন।
অবসরপ্রাপ্ত অপটোমেট্রিস্ট স্যান্ডারসন সাংবাদিকদের বলেন, প্যালট্রোর এই কথাগুলো ছিল “খুবইkind।”
প্যালট্রো এক বিবৃতিতে জানান, “মিথ্যা দাবির কাছে নতি স্বীকার করা আমার সম্মানহানি করত।
আমি ফলাফলে খুশি এবং বিচারক ও জুরির প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা এই মামলাটি বিবেচনা করেছেন।”
২০২৩ সালে, তিনি ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-কে বলেছিলেন, “পুরো বিষয়টা বেশ অদ্ভুত ছিল। আমি জানি না আমি এটা কিভাবে সামলেছি। মনে হয়েছে আমি যেন কোনোভাবে টিকে গেছি।”
পডকাস্টের ওই সাক্ষাৎকারে প্যালট্রো ঈর্ষা থেকে মুক্তি পাওয়ার বিষয়েও কথা বলেন। সেই সঙ্গে তিনি জানান, তার মা ব্লাইদ ড্যানার তাকে কিভাবে সাহায্য করেছিলেন।
নিজের সম্পর্কে জনসাধারণের কিছু ভুল ধারণাও তিনি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “আমি সেদিন একটা গুজব শুনেছিলাম, অথবা ইনস্টাগ্রামে দেখেছি, যে আমি নাকি হলিউডের সবচেয়ে দাম্ভিক ব্যক্তি।
আমি মনে করি এটা সত্যি নয়।”
এই মামলার মাধ্যমে প্যালট্রো তার সম্মান রক্ষার জন্য যে লড়াই করেছেন, তা অনেকের কাছেই দৃষ্টান্তস্বরূপ।
তথ্য সূত্র: পিপল