শিরোনাম: কাইয়া গারবার-এর ফ্যাশন অনুপ্রেরণা মা সিন্ডি ক্রফোর্ড, নতুন পোশাকের প্রচারণায় পরিবার

আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন মডেল কাইয়া গারবার তাঁর ফ্যাশন স্টাইলের জন্য মা সিন্ডি ক্রফোর্ডের দিকেই তাকিয়ে থাকেন। মা ও মেয়ের এই জুটি আসন্ন ২০২৩ সালের বসন্তের জন্য ‘ভোরি’ (Vuori) নামক পোশাক ব্র্যান্ডের প্রচারে একসঙ্গে কাজ করছেন।

২৩ বছর বয়সী কাইয়া জানান, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি মায়ের ফ্যাশন সেন্স থেকে বেশি অনুপ্রাণিত হন। তিনি বলেন, “আমি হয়তো তোমার (মা সিন্ডি ক্রফোর্ড) চেয়ে তোমার ফ্যাশন স্টাইল থেকে বেশি অনুপ্রাণিত হই। তোমার ফ্যাশন সবসময় দারুণ।”

সিন্ডি ক্রফোর্ড (৫৯) জানান, “আমি কাইয়ার মতামতকে শ্রদ্ধা করি। তবে আমি সেই মা হতে চাই না যে সবসময় চেষ্টা করে যায়। আমার মেয়ে যদি ৩০ বছর আগের কোনো পোশাক পরতে চায়, তবে এর চেয়ে আনন্দের আর কিছু হতে পারে না।”

সিন্ডি আরও জানান, তাঁর কাছে মেয়েকে দেওয়ার মতো পুরোনো পোশাকের সংগ্রহ সেভাবে নেই। তিনি দুঃখ করে বলেন, “আমার আরও অনেক কিছু রাখা উচিত ছিল। আমি অনেক কিছুই হয়তো ফেলে দিয়েছি।”

এই প্রচারের অংশ হিসেবে সিন্ডি, তাঁর স্বামী র‍্যান্ডে গারবার এবং ছেলে প্রেসলি গারবার-কে নিয়ে ‘ভোরি’র পোশাকের প্রচার করেছেন। এই ব্র্যান্ডের পোশাকের আরাম ও স্বাচ্ছন্দ্যের ওপর তাঁরা বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন।

সিন্ডি জানিয়েছেন, “এই পোশাকের কাপড়টা খুবই আরামদায়ক। এটা শরীরে এতটাই মিশে যায় যে, ইচ্ছে করবে সবসময় পরে থাকি।”

কাইয়া গারবারও মায়ের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেন, “ভোরি-র পোশাক আমার জীবনযাত্রার সঙ্গে একদম মানানসই। এটা আরাম ও ফ্যাশনের মধ্যেকার ব্যবধান ঘুচিয়ে দেয়। আমি ভালোবাসি যে, ব্যায়ামের পর মিটিংয়েও এই পোশাক পরে যেতে পারি। পোশাক যেন আত্ম-অনুসন্ধানের সুযোগ এনে দেয়।”

প্রেসলি গারবার (২৫) জানান, “ভোরি আমার জীবনে একদম ফিট করে যায়। সমুদ্রের ধারে ঘোরাঘুরি, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো কিংবা ভ্রমণের সময়—এই পোশাক সবসময় পরা যায়।” তিনি আরও যোগ করেন, “এখানে অতিরিক্ত কিছু করার নেই— দিনটা কেমন যাচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তা না করে আরাম পাওয়া যায়।”

প্রচারণার ছবি তোলার পর সিন্ডি তাঁর ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে কাইয়া, প্রেসলি ও র‍্যান্ডের ছবি পোস্ট করেন। সেখানে স্বামী ও ছেলেকে পাম গাছের উপরে উঠতে দেখা যায়। এছাড়া, ছবিতে কাইয়াকে হাসিমুখে ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়, যখন পুরো পরিবার নৌকায় ছিল।

তথ্য সূত্র: পিপল