নব্বই দশকের জনপ্রিয় প্রেমের সিনেমা ‘দ্য নোটবুক’। এই সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকদের মনে একটি প্রশ্ন, এলির (Allie) জীবনে কি নোয়ার (Noah) চেয়ে লনের (Lon) আসাটা সঠিক ছিল?
এই বিষয়ে অবশেষে মুখ খুললেন লন চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা জেমস মার্সডেন। সম্প্রতি, পিপল ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন তিনি।
২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দ্য নোটবুক’ ছবিতে, এলির চরিত্রে অভিনয় করেছেন র্যাচেল ম্যাকঅ্যাডামস।
গল্পের শুরুতে, এলি ধনী ও সুদর্শন লনের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে রাজি হন। লন ছিলেন একজন সফল আইনজীবী এবং সমাজের প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান।
তবে, শেষ পর্যন্ত এলি বেছে নেন নোয়াকে, যিনি ছিলেন কিছুটা ভবঘুরে স্বভাবের। নোয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রায়ান গসলিং।
এই সিনেমার ক্লাইম্যাক্স দর্শকদের মধ্যে তীব্র বিতর্কের জন্ম দেয়।
অন্যদিকে, অনেকে মনে করেন, এলি এবং নোয়ার মধ্যেকার আবেগপূর্ণ সম্পর্কই ছিল আসল এবং ভালোবাসার যোগ্য।
মার্সডেন বলেন, “বিষয়টা মজার।
আজকাল অনেকেই আমাকে বলেন, লন ছিলেন পরিপূর্ণ একজন মানুষ।
তিনি ছিলেন ধনী, ভালো ব্যবহার করতেন এবং এলির প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন।
তাঁদের সম্পর্ক ছিল সুস্থ।
তবে, ভালোবাসা তো ভালোবাসাই।
আমার মনে হয়, এলির নোয়ার সঙ্গেই থাকা উচিত ছিল।
সিনেমার সেই ভালোবাসার ধরন হয়তো কিছুটা অস্থির ছিল, কিন্তু সেটাই ছিল সঠিক।”
তবে, মার্সডেন নিশ্চিত করেছেন, অন্য কোনো কল্পনার জগতে লন নিশ্চয়ই সুখী হয়েছেন।
“লন খারাপ মানুষ নন, তিনি খুবই ভালো একজন মানুষ!
আমি নিশ্চিত, অন্য কোনো নারীর সঙ্গে তিনি সুখ খুঁজে নিয়েছেন।”
অভিনয় জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মার্সডেন জানান, তিনি বর্তমানে ‘ইয়োর ফ্রেন্ডস অ্যান্ড নেইবার্স’ (Your Friends & Neighbors) -এর দ্বিতীয় সিজনে কাজ করছেন।
জন হ্যাম এবং অলিভিয়া মুনের সঙ্গে এই সিরিজে কাজ করতে পেরে তিনি আনন্দিত।
এই মুহূর্তে, সিনেমা ও সিরিজের কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অভিনেতা।
‘ইয়োর ফ্রেন্ডস অ্যান্ড নেইবার্স’ -এর নতুন এপিসোডগুলো প্রতি শুক্রবার অ্যাপেল টিভিতে মুক্তি পায় এবং দ্বিতীয় সিজন মুক্তি পাবে ২০২৬ সালে।
তথ্য সূত্র: পিপল