1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 2, 2025 12:22 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
প্রশাসন মাইকিং করে আশ্রয় কেন্দ্র আসার আহবান  কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধ্বসে দু’টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত  কাপ্তাই মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি উপজেলা কমিটির প্রশিক্ষণ  অর্থনীতির স্বয়ংক্রিয় হৃৎপিণ্ড বিদেশিদের কাছে হস্তান্তর অযৌক্তিক এবং ঝুঁকিপূর্ণ—ক্যাপ্টেন রেদওয়ান সিকদার কাউখালীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্রেঞ্চ বিতরণ অনুষ্ঠিত কাপ্তাইয়ের কেপিএম এ শহীদ জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী পালন   ছাতকে মাদক দ্রব্য বিক্রেতার বিরুদ্ধে কথা বলায় হামলা সাংবাদিক সহ আহত ৫ কাপ্তাই-চট্টগ্রাম ওয়াই সি এল পরিবহণ উদ্বোধন বিখ্যাত গায়িকার কনসার্টে নাচতে গিয়ে বিপাকে, হারালেন চুল! বোনের স্বামীর পছন্দের পোশাক নিয়ে মন্তব্যের জেরে ‘পিক-মি’ তকমা! সন্তান জন্ম: স্যাম অল্টম্যানের জীবনে এলো ‘বিস্ময়কর পরিবর্তন’!

মে দিবসে লড়াই, জলবায়ু বিপর্যয়ের দায় কার? শ্রমিকদের ঐক্য!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Thursday, May 1, 2025,

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে, বিশেষ করে ভারতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে চরম আবহাওয়ার প্রভাব বাড়ছে, যার শিকার হচ্ছেন সেখানকার শ্রমিক এবং দিনমজুর শ্রেণির মানুষ।

এই পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তারা।

ভারতে, তীব্র গরমের মধ্যে, পথবিক্রেতা, আবর্জনা সংগ্রাহক এবং অন্যান্য শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে তাদের অধিকারের জন্য আওয়াজ তুলছেন। তাদের প্রধান দাবি হলো, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে এবং এর জন্য কয়লা, তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোকে দায়ী করতে হবে।

তারা এই কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

২০২৩ সালে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হওয়া দুর্যোগে শুধুমাত্র এশিয়াতেই প্রায় ৯০ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অথচ, এই দুর্যোগের জন্য দায়ী তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি করছে এবং ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে।

এই কোম্পানিগুলো বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করলেও, তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ মানুষ।

দিল্লিতে শ্রমিক, ট্রেড ইউনিয়ন এবং জলবায়ু বিষয়ক কর্মীরা মিলে ‘শ্রমিকদের জলবায়ু বিষয়ক জোট – দক্ষিণ এশিয়া’ নামে একটি নতুন সংগঠন তৈরি করেছেন। এই জোটের সঙ্গে শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও বাংলাদেশের কর্মীরাও যুক্ত হয়েছেন।

তারা ‘দূষণকারীদের ক্ষতিপূরণ দাও’ নামের একটি বৈশ্বিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী ধনী ব্যক্তি ও কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে।

তাদের দাবি হলো, জীবাশ্ম জ্বালানি কোম্পানিগুলোর ওপর নতুন কর আরোপ করে সেই অর্থ জলবায়ু দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে এবং পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে ব্যয় করতে হবে।

দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশে, শ্রমিকদের জীবনে সংকট নতুন কিছু নয়। এখানকার শ্রমিকেরা সামাজিক বৈষম্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের শিকার হচ্ছেন।

এই অঞ্চলের ৮০ শতাংশের বেশি শ্রমিক এখনো পর্যন্ত informal sector-এ কাজ করেন। ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন তাদের জীবনযাত্রাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।

ভারতে, গরমের কারণে পথবিক্রেতাদের আয় কমে গেছে, কোথাও কোথাও তা ৫০ শতাংশ পর্যন্ত নেমে এসেছে। কিন্তু নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কথা সেভাবে শোনা হয় না।

যেখানে মাত্র পাঁচটি তেল কোম্পানি ২০২৪ সালে ১০২ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, সেখানে শ্রমিকদের এই ক্ষতির বোঝা বহন করতে হচ্ছে।

ইতিহাস সাক্ষী আছে, শ্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমেই শ্রমিকদের অধিকার আদায় হয়েছে। অতীতের সেই সংগ্রামের কথা মনে রেখে, বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন জীবন ও কাজের ধরন পরিবর্তন করছে। ২০৫০ সাল নাগাদ, দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় ৮০ কোটির বেশি মানুষ এমন সব স্থানে বসবাস করতে বাধ্য হবেন, যা জলবায়ু পরিবর্তনের হটস্পটে পরিণত হবে।

শ্রমিকরা তাদের অধিকার আদায়ের জন্য এখন আবার একত্রিত হচ্ছেন। বিভিন্ন শ্রেণি, জাতি, ধর্ম ও লিঙ্গের শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে শোষণ ও পরিবেশগত অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালে, একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত জেলে ও আবর্জনা সংগ্রাহকদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান রয়েছে। নীতি-নির্ধারণের ক্ষেত্রে তাদের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রতি বছর ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে। ২০৭০ সাল নাগাদ এই ক্ষতির পরিমাণ ৯৯৭ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাতে পারে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও, সেই অনুযায়ী কাজ হয়নি। ধনী দেশগুলো এবং দূষণকারীরা তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।

শ্রমিকদের জীবন ও জীবিকা রক্ষার জন্য তাদের জরুরি ভিত্তিতে উপযুক্ত আশ্রয় এবং কাজের সময় বিশ্রাম দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

জলবায়ু অর্থায়নের আলোচনা চলতেই থাকবে, তবে এর পাশাপাশি শ্রমিকদের জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের এই লড়াইয়ে ‘দূষণকারীদের ক্ষতিপূরণ দাও’ আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মে মাসের এই শ্রমিক দিবসে, শ্রমিকরা একত্রিত হয়ে একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে: একটি ন্যায়সংগত, টেকসই ভবিষ্যৎ শ্রমিক শ্রেণির নেতৃত্বেই আসবে।

তেল ও গ্যাস কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহি করার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।

এই নিবন্ধে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব এবং এটি কোনো সংস্থার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নাও হতে পারে।

তথ্য সূত্র: আল জাজিরা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT