বাস্তবতা-ভিত্তিক টেলিভিশন তারকা জ্যাক টেইলর, যিনি একসময় মাদক ও মদের ওপর নির্ভরশীল ছিলেন, সম্প্রতি নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মুখ খুলেছেন। বাইপোলার ডিসঅর্ডার বা মানসিক দ্বৈততা এবং পিটিএসডি (পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার)-এর সাথে লড়াই করার আগে তিনি কিভাবে এই নেশাগ্রস্ততার দিকে ঝুঁকেছিলেন, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন।
জানা গেছে, এক সময়ের জনপ্রিয় টেলিভিশন শো ‘ভ্যান্ডারপাম্প রুলস’-এর এই তারকা তার অতীতের সেই কঠিন দিনগুলোর কথা সম্প্রতি একটি পডকাস্টে আলোচনা করেছেন। তিনি জানান, কিভাবে তিনি তার ভেতরের সমস্যাগুলো, যেমন রাগ, নিরাপত্তাহীনতা এবং আত্ম-অহংবোধ, থেকে মুক্তি পেতে মাদক ও অ্যালকোহলের আশ্রয় নিতেন।
টেইলর স্বীকার করেন, তিনি মাদক নিতেন যেন তার মনকে কিছু সময়ের জন্য “বন্ধ” করতে পারেন।
টেইলর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি অনুভব করছিলেন যে তার মধ্যে কিছু একটা ভুল আছে। কিন্তু সমস্যাগুলো তিনি “লুকিয়ে” রাখতেন। অবশেষে, গত জুলাই মাসে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানের জন্য তিনি পুনর্বাসন কেন্দ্রে (rehab) যান।
সেখানেই ডাক্তাররা তার মানসিক অবস্থা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন এবং তার সমস্যার কারণগুলো বুঝতে পারেন।
টেইলর আরও বলেন, যখন তিনি উপলব্ধি করেন যে তার সন্তানের জীবন ঝুঁকির মুখে, তখন তিনি আত্মসমর্পণ করেন এবং মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব অনুভব করেন। তিনি জানান, বাইপোলার ডিসঅর্ডার এবং পিটিএসডি-তে আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি এখন মানসিক স্বাস্থ্যকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন।
মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, বাইপোলার ডিসঅর্ডার এমন একটি মানসিক রোগ যা মানুষের মনকে চরমভাবে প্রভাবিত করে। এতে আক্রান্ত ব্যক্তিরা একদিকে অতিরিক্ত আনন্দিত বা উত্তেজিত হতে পারেন, আবার মুহূর্তের মধ্যে গভীর দুঃখ বা হতাশায় নিমজ্জিত হতে পারেন।
পিটিএসডি হলো কোনো মানসিক আঘাতের কারণে সৃষ্ট এক ধরনের মানসিক সমস্যা।
জ্যাক টেইলরের এই অভিজ্ঞতা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে মানসিক স্বাস্থ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সমাজে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানো এবং প্রয়োজনে সাহায্য চাওয়াটা জরুরি।
টেইলরের এই ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প অনেকের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল