বিখ্যাত মার্কিন রিয়েলিটি শো ‘সারভাইভার’-এর নতুন সিজনে প্রতিযোগী মেরী ঝেং-এর বিদায় নেওয়ার পর অনলাইনে তাঁর সতীর্থদের ওপর নেমে এসেছে চরম বিদ্বেষ। এমনকি, তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কারণে কয়েকজন প্রতিযোগী পেয়েছেন হত্যার হুমকিও!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা জানান মেরী। তিনি দর্শকদের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়ার জন্য।
‘সারভাইভার’ একটি জনপ্রিয় টেলিভিশন শো, যেখানে বিভিন্ন ব্যাকগ্রাউন্ডের প্রতিযোগীরা টিকে থাকার লড়াইয়ে অংশ নেন। প্রতিকূল পরিবেশে তাঁরা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেন এবং শেষ পর্যন্ত যিনি টিকে থাকেন, তিনিই হন বিজয়ী।
মেরী ঝেং ছিলেন এই সিজনের অন্যতম পরিচিত মুখ। ৭ই মেরির পর্বে তাঁর বিদায়ের পরেই ঘটনার সূত্রপাত।
মেরী জানান, খেলাটি আসলে একটি বিনোদনের মাধ্যম, কিন্তু প্রতিযোগীদের জন্য এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে টিকে থাকার জন্য খেলোয়াড়দের মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে প্রস্তুত থাকতে হয়।
মেরীর মতে, খেলার অংশ হিসেবে কারো প্রতি বিদ্বেষ দেখানো বা হুমকি দেওয়াটা কাম্য নয়।
মেরী আরও বলেন, “প্রতিটি প্রতিযোগী তাঁদের অতীত অভিজ্ঞতা, দুর্বলতা এবং মানসিক শক্তি নিয়ে এখানে আসেন। সবাই তাঁদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
তাই, কাউকে হুমকি দেওয়াটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।”
এই সিজনে ডেভিড কিন নামের আরেক প্রতিযোগীও বেশ আলোচনায় ছিলেন। ডেভিড প্রতিযোগিতা থেকে বাদ পড়ার পর তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যায়।
ডেভিড জানিয়েছেন, তিনি ফাইনাল জিততে না পারায় তাঁর প্রেমিকা তাঁদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চাননি। যদিও এখন ডেভিড নতুন সম্পর্কে জড়িয়েছেন এবং বর্তমানে তিনি ভালো আছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেতিবাচক মন্তব্যের শিকার হওয়া প্রসঙ্গে মেরী বলেন, তিনি তাঁর সতীর্থদের প্রতি সহানুভূতিশীল।
কারণ, খেলার সময় অনেক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় এবং সবারই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা থাকে।
সামগ্রিকভাবে, ‘সারভাইভার’-এর এই সিজনে প্রতিযোগী এবং দর্শকদের মধ্যে তৈরি হওয়া এই পরিস্থিতি অনলাইনে দায়িত্বশীল আচরণের প্রয়োজনীয়তা আরও একবার প্রমাণ করে।
বিনোদনের নামে বিদ্বেষ ছড়ানো বা হুমকি দেওয়ার মতো ঘটনাগুলো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
তথ্য সূত্র: পিপল