প্রিন্সেস অফ ওয়েলস, কেট মিডলটন, সম্প্রতি লন্ডনে অনুষ্ঠিত হওয়া একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে যোগ দেন, যেখানে ফ্যাশন সচেতনতা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিজয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এই কনসার্টে তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন এবং তার পোশাকের একটি বিশেষ দিক সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

অনুষ্ঠানে প্রিন্সেস কেট একটি সাদা রঙের পোশাকে সেজেছিলেন। সাদা ব্লেজার এবং স্কার্টের সঙ্গে তিনি একটি আকর্ষণীয় হেয়ার অ্যাক্সেসরিজ ব্যবহার করেন, যা ছিল সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু।

তার পরিধানে ছিল একটি বড় কালো রঙের হেয়ার বো, যা তার মার্জিত সাজসজ্জাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছিল। শুধু পোশাক নয়, তার এই কেশসজ্জা ফ্যাশন দুনিয়ায় নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

প্রিন্সেস কেটের এই হেয়ার বো ব্যবহারের বিষয়টি নতুন নয়। অতীতেও বিভিন্ন সময়ে তাকে একই ধরনের কেশসজ্জা ব্যবহার করতে দেখা গেছে, যা ফ্যাশন সচেতন মহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে।

ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পুরনো পোশাককে নতুনভাবে উপস্থাপন করার ক্ষেত্রে এই ধরনের অনুষঙ্গ দারুণ কার্যকরী।

রাজপরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যে প্রিন্স উইলিয়াম, রাজা তৃতীয় চার্লস এবং কুইন ক্যামিলাও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই মিলে বিজয় দিবস উদযাপন করেন।

প্রিন্সেস কেটের এই ফ্যাশন সচেতনতা শুধু একটি পোশাকের বিষয় নয়, বরং এটি তার রুচি এবং স্টাইলের একটি দৃষ্টান্ত।

ফ্যাশন সমালোচকদের মতে, কেট মিডলটনের পোশাক নির্বাচন সব সময়ই একটি বিশেষ আকর্ষণ তৈরি করে। তিনি প্রায়শই পুরনো পোশাককে নতুনভাবে ব্যবহার করেন, যা ফ্যাশন জগতে একটি নতুন ধারা তৈরি করেছে।

উদাহরণস্বরূপ, গত বছরের জুন মাসে ট্রুপিং দ্য কালার অনুষ্ঠানে তিনি পূর্বে পরিহিত একটি পোশাকের সঙ্গে একটি নতুন স্ট্রাইপযুক্ত বো যোগ করে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ দিয়েছিলেন।

ফ্যাশন পরিচালক বেথান হল্ট মনে করেন, “কেট একটি টেকসই ফ্যাশন ধারা অনুসরণ করার চেষ্টা করছেন। তার বিশাল সংগ্রহ রয়েছে, তাই পুরোনো পোশাককে নতুনভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করাটা বেশ প্রশংসনীয়।”

তিনি আরও যোগ করেন, “একটি বো ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি পোশাকের সাধারণ রূপ পরিবর্তন করে একটি আকর্ষণীয় লুক তৈরি করেন, যা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য।”

মোটকথা, প্রিন্সেস কেটের ফ্যাশন সচেতনতা সবসময়ই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। তার পোশাক এবং অনুষঙ্গের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে তিনি ফ্যাশন জগতে একটি বিশেষ স্থান তৈরি করেছেন।

তার এই ধরনের ফ্যাশন ভাবনা অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা জোগায়।

তথ্য সূত্র: পিপলস