আফজল খান শিমুল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া পৌরসভার রাধানগর গ্রামে গতকাল ২৮ নভেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে কোর্টের দেয়া ১৪৪ ও ১৪৫ ধারা আদেশ ভঙ্গের অভিযোগে এলাকার এক ব্যক্তি ও তার সাথে যোগসাজশ করা কিছু লোকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে তাদের তোলা অবৈধ স্থাপনা ও নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাতের আঁধারে এ অপকর্মগুলি করছে।
তারা কোর্টের স্থিতাবস্থা অমাণ্য করে রাতের আঁধারে পৌর এলাকার রাধানগর সাহাপাড়া নামক স্থানে , দেবগ্রাম মৌজার, ১০০১ বিএস দাগের ৪.৬৪ শতাংশ জায়গা জোর-জবরদস্তি করে নির্মাণ করছে।
এ জায়গাটির মালিক আখাউড়া পৌরসভার দেবগ্রাম গ্রামের মৃত শেখ এলু মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র শেখ আনিস।
সে বর্তমানে ইতালী প্রবাসী। তার স্ত্রী তার স্বশুর বাড়িতে থাকায় এ সুযোগে অন্তত কোটি টাকার মূল্যের এ সম্পত্তিটির প্রতি লুলোপ দৃষ্টি পড়ে এলাকার নামকরা ভূমি দস্যুদের ।
এ ব্যাপারে ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ কোর্টে একটি দেওয়ানী মামলা চলমান থাকার পরেও তারা ভূক্তভোগী শেখ আনিসের বড় ভাই শেখ বশির ও শেখ জোবায়ের মানিকের সাথে গোপন আতাত করে কম মূল্যে জায়গাটি খরিদ করে আখাউড়ার তৎকালিন সময়ের ভূমি অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে যোগসাজসে জায়গাটি সম্পূর্ণ বিধি বহির্ভূত মিউটিশন করে নেয়।
এ ব্যাপারে মামলা ও কোর্টের আদেশ অমাণ্য করে গত কিছুদিন ধরে জায়গাটির চতুর্দিকে বেড়া দিয়ে কর্মচারিদের বেশি অর্থ দিয়ে দ্রুত অন্যায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এ দূর্বৃত্ত চক্রটি।
এ ব্যাপারে গতকাল বিকেলে কোর্টের আদেশ অমাণ্য করার কারণে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহীর নির্দেশে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সজিব মিয়ার নেতৃত্বে আংশিক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
এরপর আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে ইউএনও দু-পক্ষের কাগজ ও দলিলাদি পর্যবেক্ষণ করে শরোফা মেম্বারকে মামলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনরকম কাজ না করার নির্দেশ দেন।
যদি কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে তাহলে আইন মোতাবেক কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, কোর্টের আদেশ অমাণ্যকারি শরোফা মেম্বার বলেন, এটা তাদের পারিবারিক সমস্যা, আমি তার বড় ভাই হতে জায়গাটি কিনে নিয়েছি, তবে কোর্টের আদেশ অমাণ্যের বিষয়ে কিছু বলেন নি।
জানতে চাইলে, এ জায়গার মালিকের স্ত্রী আফরিন জান্নাত বলেন, আমরা কোন দেশে বসবাস করি, যেখানে এসব ভূমি দস্যুদের কাছে আইনকানুন ও সরকার অসহায়, সেখানে তো আমরা কিছুই না। আমি অবিলম্বে এ সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যুর গ্রেপ্তার পূর্বক কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি ।
অপরদিকে , উচ্ছেদ পরিচালনাকারি, ম্যাজিস্ট্রেট মো: সজিব মিয়া বলেন, আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহী অসুস্থ থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায় নি।