নতুন পথে: কান চলচ্চিত্র উৎসবে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন স্কারলেট জোহানসন, ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট ও হ্যারিস ডিকিনসন।
চলচ্চিত্রের জগৎ সবসময়ই পরিবর্তনের সাক্ষী থাকে। অভিনয়শিল্পীরা ক্যামেরার সামনে থেকে পরিচালকের আসনে বসেন, এমন ঘটনা নতুন নয়।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের আসন্ন আসরে তেমনই এক পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। অভিনেত্রী স্কারলেট জোহানসন, ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট এবং হ্যারিস ডিকিনসন-এর মতো তারকারা পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন।
তাঁদের নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো কান চলচ্চিত্র উৎসবের ‘আন সার্টেন রিগার্ড’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে এর আগেও বহু অভিনেতা-পরিচালক তাঁদের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছেন এই তিন তারকা।
স্কারলেট জোহানসন, যিনি হলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় ও সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া অভিনেত্রী, তাঁর পরিচালনার প্রথম ছবি ‘ইলেনর দ্য গ্রেট’-এর মাধ্যমে দর্শক-সমালোচকদের মন জয় করতে চান।
এই ছবিতে ফ্লোরিডা থেকে নিউ ইয়র্কে আসা এক বৃদ্ধ নারীর গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, যেখানে জুন স্কুইব নামের একজন প্রবীণ অভিনেত্রী মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
ছবিটির পরিবেশনার স্বত্ব এরই মধ্যে সনি পিকচার্স কিনে নিয়েছে এবং অস্কারের দৌড়েও এর ভালো সম্ভাবনা রয়েছে।
অন্যদিকে, ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট দীর্ঘদিন ধরেই পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত হতে চেয়েছিলেন।
অবশেষে, তিনি লিডিয়া ইয়ুকনাভিচের স্মৃতিকথা অবলম্বনে ‘দ্য ক্রনোলজি অফ ওয়াটার’ তৈরি করেছেন।
ছবিতে অভিনয় করেছেন ইমোজেন পুটস।
আমি অন্য কারো জন্য কাজ করার আগে এই সিনেমাটি বানাব। আমি সিনেমা জগৎ ছেড়ে দেব। যতক্ষণ না আমি এই সিনেমাটি বানাচ্ছি, ততক্ষণ আর কোনো সিনেমা বানাব না।
অবশেষে, তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে।
এছাড়াও, অভিনেতা হ্যারিস ডিকিনসন-এর পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে ‘অর্চিন’ চলচ্চিত্রটি।
ছবিটিতে মাদকাসক্ত এক ভবঘুরের জীবন তুলে ধরা হয়েছে।
ডিকিনসন, যিনি রুবেল অস্টলান্ডের ‘ট্রায়াঙ্গেল অফ স্যাডনেস’-এর মতো প্রশংসিত ছবিতে অভিনয় করেছেন, তাঁর এই ছবিটির মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক মানুষের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।
ছবিটির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে পূর্ব লন্ডনের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে তাঁর কাজের অভিজ্ঞতা থেকে।
অভিনেতাদের পরিচালনা জগতে প্রবেশ করাটা সবসময় সহজ হয় না।
এর আগে রায়ান গসলিং-এর পরিচালিত প্রথম ছবি ‘লস্ট রিভার’-এর অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর ছিল না।
সমালোচকেরা ছবিটিকে ‘অত্যন্ত আত্ম-অহংকারী’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।
তবে, স্কারলেট জোহানসন, ক্রিস্টেন স্টুয়ার্ট এবং হ্যারিস ডিকিনসন-এর মতো তারকারা তাঁদের ছবি দিয়ে কতটা দর্শকদের মন জয় করতে পারেন, এখন সেটাই দেখার বিষয়।
কান চলচ্চিত্র উৎসব চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম।
এই উৎসবে তাঁদের ছবি প্রদর্শিত হওয়া তাঁদের জন্য নিঃসন্দেহে একটি বড় সুযোগ।
এখন দেখার বিষয়, এই তারকারা পরিচালক হিসেবে কতটা সফল হন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান