অ্যামেরিকার জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি হাসপাতালে এক বিরল দৃশ্যের অবতারণা হয়, যা ভালোবাসা আর শোকের এক অসাধারণ মিশ্রণ সৃষ্টি করে। স্যামুয়েল বি. উইলসন নামের এক ব্যক্তি তার মায়ের শেষ ইচ্ছা পূরণ করতে, হাসপাতালের বেডে বসেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
মায়ের অন্তিম সময়ে তার পাশে থেকে এই বিয়ে সম্পন্ন করার ঘটনা, সেখানকার মানুষের মনে গভীর রেখাপাত করেছে।
ক্যান্সারে আক্রান্ত মারথা জেনকিন্স উইলসন, যিনি কিনা স্যামুয়েলের মা, সবসময় চেয়েছিলেন তার ছেলের বিয়ে দেখে যেতে। ছেলের বিয়ের সাক্ষী হওয়ার এই আকাঙ্ক্ষা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড় সাধ।
ছেলের বিয়ে দেখার এই অদম্য ইচ্ছাকে সম্মান জানাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও এগিয়ে আসে। ঘটনাটি ঘটে সাউথ জর্জিয়া মেডিকেল সেন্টার (এসজিএমসি) হেলথে, যেখানে খুব অল্প সময়ের মধ্যে একটি হাসপাতালের কক্ষকে বিবাহের উপযুক্ত করে তোলা হয়।
স্যামুয়েল তার বান্ধবী, নার্স নাকুমা ওয়েডের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন মায়ের চোখের সামনেই।
এই আবেগঘন মুহূর্তের সাক্ষী ছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্স সহ অন্যান্য কর্মীরা। বিয়ের কয়েক ঘণ্টা পরেই মারা যান মারথা।
মায়ের মৃত্যুর দুই সপ্তাহ পর, স্যামুয়েল ও নাকুমা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিবাহ সম্পন্ন করেন।
নাকুমা ওয়েড, যিনি নিজেও এসজিএমসি হেলথের একজন আইসিইউ নার্স, জানান, “তিনি সবসময় বলতেন, ‘আমি আমার বাচ্চার সঙ্গে নাচতে চাই’। অন্য কোনো বিয়েতে তিনি যেতেন না।
তিনি বলতেন, ‘আমার একটা বিয়েতে যেতে হবে’, এবং তিনি সেই বিয়েটা দেখেই গেলেন।
ছেলের এই বিয়ে, মায়ের প্রতি ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। এই ঘটনা বুঝিয়ে দেয়, মায়ের ভালোবাসার কাছে পৃথিবীর সব কিছুই তুচ্ছ।
একজন মায়ের কাছে তার সন্তানের সুখের চেয়ে বড় আর কিছুই হতে পারে না। মায়ের শেষ ইচ্ছাপূরণ করতে ছেলের এই পদক্ষেপ, ভালোবাসার এক বিরল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে সবসময়।
তথ্য সূত্র: পিপলস