বিশ্ববিখ্যাত গায়ক জাস্টিন বিবার সম্প্রতি তার সামাজিক মাধ্যমে কিছু ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি তার দুর্বলতা এবং কিভাবে তিনি ভালো মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে চান, সে সম্পর্কে কথা বলেছেন।
নিজের ভুলগুলো স্বীকার করে ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন এই শিল্পী।
গত ৯ই মে তারিখে, বিবার তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে বেশ কয়েকটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন, মাঝে মাঝে তিনি নিজেকে স্বার্থপর মনে করেন এবং অনিচ্ছাকৃতভাবে অন্যদের কষ্ট দিয়েছেন।
তবে এখন তিনি ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হতে চান। তিনি আরও যোগ করেন, “আমি একজন সাধারণ মানুষ, আমারও ভুল হয়। আমি এমন কিছু করি বা বলি যা হয়তো অন্যকে আঘাত করে।
কিন্তু আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে মনে হয়েছে, আমার আরও ভালো মানুষ হওয়ার সুযোগ আছে।”
বিবারের এই পোস্টে ভালোবাসার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, “ভালোবাসা আমাদের আকর্ষণ করে।
ভালোবাসা কাউকে ঘৃণা করে না। ভালোবাসাই শ্রেষ্ঠত্বের প্রতীক। সব কিছুতে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সব কষ্ট সহ্য করতে শেখায়।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ভালোবাসা আমাদের ক্ষমা করতে এবং এমনকি আমাদের শত্রুদেরও ভালোবাসতে শেখায়।”
অন্য একটি পোস্টে বিবার নিজের ভেতরের দ্বিধা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “কখনো কখনো মনে হয়, আমি যদি আমার ভেতরের স্বার্থপরতা প্রকাশ করি, তবে হয়তো মানুষ আমাকে পছন্দ করবে না বা বিশ্বাস করবে না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমি যদি আমার অনুভূতির কথা বলি, তাহলে হয়তো আমার স্বপ্নগুলো অপূর্ণ থেকে যাবে।”
তবে শেষ পর্যন্ত তিনি এই সিদ্ধান্তে আসেন যে, নিজের ভেতরের কথা অকপটে স্বীকার করলে তিনি মুক্তি অনুভব করেন।
বিবারের পোস্টগুলোতে তিনি জীবনের উত্থান-পতন এবং ভালো অনুভব করার জন্য ঈশ্বরের কাছে কিভাবে সাহায্য চেয়েছেন, সে সম্পর্কেও কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, “আমি প্রতিদিন সকালে উঠি। কখনও আশাবাদী আবার কখনও হতাশ। আমার অনুভূতিগুলো আমি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।”
তিনি আরও যোগ করেন, “খারাপ অনুভব হলে আমি ঈশ্বরের উপর দোষ চাপাই, কিন্তু তাঁর সঙ্গে কথা বলে ভালো অনুভব করার চেষ্টা করি।”
জাস্টিন বিবার সম্প্রতি আইসল্যান্ডে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি একটি স্টুডিওতে গানের কাজ করেছেন। এছাড়াও, তার স্ত্রী হেইলি বিবার ২০২৩ সালের মেট গালা অনুষ্ঠানে একাই যোগ দিয়েছিলেন।
সেই রাতে জাস্টিন বন্ধুদের সঙ্গে টরন্টো ম্যাপেল লীফসের একটি খেলা উপভোগ করেন।
তথ্যসূত্র: পিপল