শিরোনাম: লস অ্যাঞ্জেলেসের তারকা জেরল্ড স্মিথ দ্বিতীয় এবং চেরিল দেস ভিগনেসের “এলিগ্যান্ট” বিয়ে: ভালোবাসার এক উজ্জ্বল উদযাপন

আলো ঝলমলে এক অনুষ্ঠানে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন “সুইট লাইফ: লস অ্যাঞ্জেলেস” খ্যাত তারকা জেরল্ড স্মিথ দ্বিতীয় এবং চেরিল দেস ভিগনেস। লস অ্যাঞ্জেলেসের “দ্য ম্যাজেস্টিক ডাউনটাউন”-এ ১লা মে, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয় এই যুগলের জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠান। যেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১৭০ জন অতিথি।

আসলে, এই মিষ্টি প্রেমের গল্পের শুরুটা বহু বছর আগে। “সুইট লাইফ: লস অ্যাঞ্জেলেস” রিয়েলিটি শো-এর মাধ্যমে তাঁদের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন দর্শক। এই শো টি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে প্রথমবার “ম্যাক্স” (তৎকালীন HBO Max)-এ সম্প্রচারিত হয়। তবে তাঁদের ভালোবাসার বীজ বোনা হয়েছিল আরও আগে।

জেরল্ডের ভাষ্যমতে, তিনি চেরিলকে প্রথম দেখেন এক বন্ধু, যিনি আবার চেরিলেরcousin-এর ১৬তম জন্মদিনের পার্টিতে। প্রথম দেখাতেই ভালো লাগা, এরপর ধীরে ধীরে প্রেম এবং অবশেষে পরিণয়।

২০২২ সালের ১৮ই জুন, মালিবুর একটি রেস্তোরাঁয়, সমুদ্রের মনোমুগ্ধকর পরিবেশে আংটি বদলের মাধ্যমে সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন এই জুটি। বিয়ের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে, তাঁরা “এলিগ্যান্ট” থিমের উপর গুরুত্ব দেন। পোশাক থেকে শুরু করে অনুষ্ঠানের সাজসজ্জা—সবকিছুতেই ছিল আভিজাত্যের ছোঁয়া।

বরের পোশাকে ছিল সাদা ডাবল-ব্রেস্টেড জ্যাকেট এবং কালো ট্রাউজার। অন্যদিকে, নববধূ চেরিল পরেছিলেন একটি আকর্ষণীয় সাদা গাউন। বিয়ের পোশাকে ক্লাসিকের ছোঁয়া রাখতে চেয়েছিলেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য ছিল “ব্ল্যাক টাই” পোশাকের নিয়ম।

অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগত ছোঁয়া যোগ করতে কোনো ত্রুটি রাখেননি তাঁরা। বিয়ের প্রথম নাচের জন্য তাঁরা বেছে নিয়েছিলেন “মাই ফার্স্ট লাভ”। সঙ্গীতের তালে তালে ভালোবাসার গভীরতা যেন আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

এই বিশেষ দিনটির স্মৃতি আরও উজ্জ্বল করে তোলে “ব্ল্যাক লাভ ইনক”-এর ক্যামেরাবন্দী করা মুহূর্তগুলি। বিয়ের অনুষ্ঠানে “ভিয়ারে ওয়াইনস” এবং “হোটেল পার লা”-এর মতো নামী সংস্থাগুলি সহায়তা করেছে।

বিয়ের পর নবদম্পতি তাঁদের মধুচন্দ্রিমার জন্য ইতালি এবং গ্রিস ভ্রমণে যাবেন। তাঁদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে, চেরিল বলেন, “জেরল্ডের সঙ্গে জীবন কাটানোটা আমার কাছে খুবই সহজ। আমরা একসঙ্গে বেড়ে উঠেছি, তাই একে অপরের প্রতি গভীর একটা টান অনুভব করি।

জেরল্ড যোগ করেন, “আমরা জীবনটাকে উপভোগ করতে চাই এবং সবসময় একসঙ্গে থাকতে চাই।” ভালোবাসা আর সম্পর্কের গভীরতা নিয়ে এই দম্পতির যাত্রা, অন্যদের কাছেও এক অনুপ্রেরণা।

তথ্যসূত্র: পিপল