বিখ্যাত অভিনেত্রী কেইটলিন ডেভার, যিনি ‘দ্য লাস্ট অফ আস’ এবং ‘বুকস্মার্ট’-এর মতো জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন, সম্প্রতি তার প্রয়াত মা ক্যাথিকে উৎসর্গ করে একটি হৃদয়স্পর্শী শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়েছেন।

চলতি বছরের মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার, যা ছিলো ‘মাদার্স ডে’ (মাদার্স ডে), সেই বিশেষ দিনে ডেভার তার মায়ের স্মৃতিচারণ করেন, যিনি গত ফেব্রুয়ারিতে স্তন ক্যান্সারের সঙ্গে ১৪ বছর ধরে লড়াই করে অবশেষে মারা যান।

সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) প্রকাশিত একটি আবেগপূর্ণ পোস্টে (post) ডেভার তার মায়ের সঙ্গে কাটানো কিছু সুন্দর মুহূর্তের কথা তুলে ধরেন।

মায়ের সঙ্গে নিজের এবং বোনদের একটি সাদা-কালো ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “আমাদের মা। আমি ভাবছি, তিনি আমাদের তিনজনকেই কেমন করে সেরা হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন।”

ডেভার ছোটবেলার একটি স্মৃতিচারণ করে বলেন, “স্কুলে ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে (Valentine’s Day) আমাদের নিজেদের ভ্যালেন্টাইনস বক্স বানানোর কথা ছিলো।

আমি মনে করি, ম্যাডির (Mady) যখন বক্স বানানোর পালা এলো, তখন মা শুধু স্টিকার দিয়ে কাজ সারেননি, বরং একটি পুরনো জুতার কার্টন গোলাপী ও লাল রঙের সুন্দর আর্টিফিসিয়াল (artificial) ফুল দিয়ে সাজিয়েছিলেন।”

তিনি আরও জানান, তারা দু’বোন মিলে মায়ের সঙ্গে বসে আঠা দিয়ে ফুল লাগানোর কাজটি করেছিলেন এবং পরে মা তাতে ক্রিস্টালের (crystal) একটি হাতল যুক্ত করেন।

ডেভার উল্লেখ করেন, সে বছর ম্যাডির ভ্যালেন্টাইনস বক্সটি ছিলো সবার সেরা।

ডেভার তার মায়ের কথা বলতে গিয়ে আরও যোগ করেন, “মা সবকিছুকে সুন্দর করে তুলেছিলেন।

তিনি আমাকে, ম্যাডিকে এবং জেনকে প্রতিদিন সুন্দর অনুভব করাতেন।

পৃথিবীর সেরা এবং সবচেয়ে সুন্দরী মা-কে আমি কত ভালোবাসি, তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না।

আমি তাকে খুব মিস করি। শুভ মাদার্স ডে।”

২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডেভার তার মায়ের মৃত্যুর খবর জানিয়ে একটি পোস্টে লিখেছিলেন, “আমার মা, আমার জীবন, আমার সবকিছু।

আমার কাছে কোনো শব্দ নেই।

তুমি আমার জীবনে যে উপহার দিয়েছো, সীমাহীন আনন্দ দিয়েছো, এবং আমাদের পরিবারকে নিঃশর্তভাবে ভালোবেসেছো, তার প্রতিদান দেওয়ার মতো ক্ষমতা আমার নেই।”

ডেভার আরও জানান, তার মায়ের ভালোবাসা ছিল সূর্যের আলোর মতো, যা সবসময় তাকে উষ্ণতা দিতো এবং দুঃখের সময়ে হাসতে সাহায্য করতো।

তিনি মায়ের হাসি, রসিকতা, আলিঙ্গন ও চুমু, সেই সাথে মায়ের হাত ধরে থাকার স্মৃতিকে সবসময় অনুভব করেন।

তথ্য সূত্র: পিপল