এককালের ‘অসুন্দর’ থেকে স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড-এর মডেল, জর্ডান চাইলসের আত্ম-অনুসন্ধানের গল্প।
কয়েক বছর আগেও নিজের চেহারা নিয়ে হতাশ ছিলেন জর্ডান চাইলস। নিজেকে প্রতিনিয়ত ‘অসুন্দর’ বলতেন এই তরুণী। কিন্তু সেই তিনিই এখন বিশ্বখ্যাত স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড-এর ২০২৩ সালের সুইমস্যুট সংস্করণের মডেল!
সম্প্রতি প্রকাশিত এই খবরে উচ্ছ্বসিত চাইলস, যিনি একইসঙ্গে একজন খ্যাতিমান জিমন্যাস্টও। আত্ম-অনুসন্ধান ও শরীরের প্রতি ভালোবাসার এক দারুণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি।
চব্বিশ বছর বয়সী এই তরুণী জানান, স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেড-এর মতো একটি বিখ্যাত ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে নিজের ছবি দেখে তিনি রীতিমতো হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তাঁর মা-ও আবেগ ধরে রাখতে পারেননি, কেঁদে ফেলেছিলেন।
চাইলস বলেন, “আমার মা সবসময় আমার পাশে ছিলেন। আমার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে তিনি আমার সব কষ্ট-বেদনা দেখেছেন। আমার এই সাফল্যে তিনি হয়তো তাঁর মেয়ের সৌন্দর্য্য উপলব্ধি করতে পেরেছেন।”
নিজের শরীরের প্রতি ভালোবাসা ও আত্ম-বিশ্বাসের কথা বলতে গিয়ে চাইলস জানান, একসময় তিনি নিজের শারীরিক গঠন নিয়ে হতাশ ছিলেন। এমনকি, কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার জন্য চাপও দেওয়া হত তাঁকে।
কঠিন সেই সময়ে তিনি নিজেকে ভালোবাসতে শিখেছেন। এখন তিনি তাঁর শরীরের প্রতিটি দিককে উপভোগ করেন এবং নিজের অর্জনগুলো নিয়ে গর্বিত।
তাঁর কথায়, “আমি এখন আমার শরীরকে ভালোবাসি, কারণ এটিই আমার পরিচয়। এই শরীর আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে।”
নিজের অতীতের কথা বলতে গিয়ে চাইলস জানান, একসময় তিনি অন্যদের কথায় প্রভাবিত হয়ে নিজের সম্পর্কে খারাপ ধারণা পোষণ করতেন। কিন্তু এখন তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চান।
তিনি চান, তরুণীরা যেন নিজেদের স্বপ্ন পূরণের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে পারে এবং নিজেদের প্রতি বিশ্বাস রাখতে শেখে।
জর্ডান চাইলসের এই অনুপ্রেরণামূলক যাত্রা শুধু তাঁর নিজের নয়, বরং সকলের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে। আত্ম-সন্দেহ থেকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানোর এই গল্প তরুণ প্রজন্মের কাছে আত্ম-উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
তথ্য সূত্র: পিপল