নববধূ তার পোশাক ‘অনুচিত’ বলার পর এক নারী বিয়ের আসর ত্যাগ করতে বাধ্য হন। সম্প্রতি, এমন একটি ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যেখানে বিয়ের পোশাকে কিছু নিয়ম না মানার কারণে এক নারীকে বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে চলে যেতে বলা হয়।
ঘটনার সূত্রপাত হয় গত ২৬শে এপ্রিল, যখন @ebrown_rn নামের একজন টিকটক ব্যবহারকারী তার অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি জানান, স্বামীর এক বন্ধুর বিয়েতে যোগ দিতে তারা প্রায় দুই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিয়ে গিয়েছিলেন।
বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই কনে তার কাছে এসে অভিযোগ করেন যে তার পোশাক ‘অনুচিত’ এবং বিয়ের পোশাকের নির্দিষ্ট নিয়মের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
ওই নারী আরও জানান, বিয়ের আমন্ত্রণপত্রে পোশাকের ব্যাপারে কোনো উল্লেখ ছিল না। তিনি হালকা নীল, গোলাপি ও সাদা মিশ্রিত একটি পোশাক পরেছিলেন এবং পায়ে ছিল স্যান্ডেল।
তার স্বামী একটি গাঢ় নীল রঙের স্যুট পরেছিলেন, সঙ্গে হালকা গোলাপি শার্ট ও টাই ছিলো।
ভিডিওর মন্তব্যের ঘরে অনেকে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান। এরপর ওই নারী জানান, কনে তাকে সরাসরি বলেছিলেন, “আপনার পোশাকটি ঠিক নয়।
পোশাকের একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে এবং আমি সবাইকে নির্দিষ্ট কিছু রং পরতে বলেছি।” কনে নাকি আরও বলেছিলেন, “সাধারণত আমি এই ধরনের পোশাক পরা কাউকে চলে যেতে বলি, তবে যেহেতু আপনি এত দূর থেকে এসেছেন, তাই আপনাকে থাকতে দিচ্ছি।”
এই কথায় তিনি আহত হন এবং স্বামীর সঙ্গে বাচ্চাদের নিয়ে তিনি অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।
পরবর্তীতে, ওই নারী জানান, বিয়ের পোশাকের নিয়ম ছিল— ধূসর, নীল, হলুদ এবং লাল রঙের পোশাক পরতে হবে, তাও আবার একরঙা।
কোনো ধরণের প্রিন্ট বা নকশা যুক্ত পোশাক পরা যাবে না। নারীদের সাদা বা কালো এবং পুরুষদের কালো পোশাক পরা নিষেধ ছিল। এছাড়াও, সবাইকে কালো জুতা পরতে বলা হয়েছিল।
টিকটকে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরে, অনেকেই কনের এই ধরনের আচরণের সমালোচনা করেছেন। অনেকেই মনে করেন, বিয়ের পোশাকের ব্যাপারে কনের এমন কঠোরতা এবং অতিথিদের প্রতি তার ব্যবহারের ধরন— উভয়ই বেশ অপ্রত্যাশিত ছিল।
বিয়ে একটি সামাজিক অনুষ্ঠান, যেখানে পোশাকের রুচি এবং আনুষ্ঠানিকতা নিয়ে বিভিন্ন জনের ভিন্নমত থাকতে পারে। তবে, এই ঘটনাটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, কোনো অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে আয়োজকদের দেওয়া নিয়মকানুনগুলো ভালোভাবে দেখে নেওয়া উচিত।
বিশেষ করে, বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে পোশাক নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আমাদের আরও বেশি সচেতন থাকতে হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল