ফ্রান্সের প্রেক্ষাপটে নির্মিত, “এনজো” (Enzo) নামের একটি নতুন সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে, যা তরুণ বয়স, আকাঙ্ক্ষা, এবং আত্ম-অনুসন্ধানের এক মর্মস্পর্শী গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের একটি বিশেষ বিভাগে সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে এবং এটি প্রয়াত চলচ্চিত্র নির্মাতা লরেন্ট কান্টের শেষ কাজ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।
ছবিটির পরিচালনা করেছেন রবিন কাম্পিলো, যিনি কান্টের সাথে চিত্রনাট্য লেখার কাজও করেছেন।
গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ১৬ বছর বয়সী এনজো, যে একটি ধনী পরিবারের সন্তান। তার বাবা-মা চান তিনি পড়াশোনা করে ভালো একটা ভবিষ্যৎ গড়ুক, কিন্তু এনজোর ইচ্ছা ভিন্ন।
সে স্কুল ছেড়ে দিয়ে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে চায়। তার এই সিদ্ধান্তে পরিবারের সদস্যরা হতাশ হন, বিশেষ করে তার বাবা, যিনি চান ছেলে আর্ট স্কুলে ভর্তি হোক।
নির্মাণ সাইটে এনজোর কাজ ভালো লাগে না, তবে সে সেখানে থাকতে বদ্ধপরিকর।
এই সময়ে তার পরিচয় হয় ভ্লাদের সঙ্গে, যিনি একজন ইউক্রেনীয় শ্রমিক।
ভ্লাদকে দেখে এনজো আকৃষ্ট হয়, কারণ ভ্লাদ-এর মধ্যে সে জীবনের গভীরতা খুঁজে পায়। ভ্লাদ-এর নিজের দেশে ফিরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত এনজোকে নাড়া দেয়।
ছবিটি মূলত তরুণ বয়সের দ্বিধা, আকাঙ্ক্ষা, এবং সমাজের চোখে নিজেদের অবস্থান নিয়ে তৈরি। এনজোর চরিত্রে ফুটে ওঠা অস্থিরতা, তার ভেতরের বিদ্রোহ, এবং নিজের পথ খুঁজে বের করার আকুলতা দর্শকদের নাড়া দেবে।
ছবিটি একইসাথে ধনী-গরিবের সামাজিক বৈষম্য এবং মানুষের ভেতরের গভীর সম্পর্কগুলোও তুলে ধরেছে।
“এনজো” সিনেমায় রবিন কাম্পিলো এবং লরেন্ট কান্টের মিলিত কাজের মাধ্যমে জীবনের জটিলতা এবং মানুষের ভেতরের আকাঙ্ক্ষাগুলো সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
যারা সিনেমা ভালোবাসেন এবং সমাজের নানা দিক নিয়ে ছবি দেখতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য “এনজো” একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হতে পারে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান