ক্যালিফোর্নিয়ার রিচমন্ড শহরে পাখির মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, তারা অদ্ভুতভাবে পাখিগুলোকে “বিস্ফোরিত” হতে দেখছেন। ঘটনাটি নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে, আর কর্তৃপক্ষের সন্দেহ, এর পেছনে রয়েছে কোনো ষড়যন্ত্র।
যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর কাছাকাছি অবস্থিত রিচমন্ড এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা বেশ কয়েকদিন ধরেই এমন ঘটনার সাক্ষী হচ্ছেন। ইতিমধ্যেই ৫০টির বেশি পাখির মৃতদেহ পাওয়া গেছে। কারো কারো মতে, বিদ্যুতের তারের ওপর শব্দ হওয়ার পরেই পাখিগুলো মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার তদন্তে নেমেছে কাউন্টি শেরিফ অফিস। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল, বিদ্যুতস্পৃষ্ট হয়ে পাখিগুলোর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ময়না তদন্তের ফল বলছে অন্য কথা। ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অফ ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ-এর স্বাস্থ্য পরীক্ষাগারের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মৃত পাখিগুলোর শরীরে গুলির আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাঁদের ধারণা, পাখিগুলোকে সম্ভবত এয়ার গান, বা অন্য কোনো অস্ত্র দিয়ে মারা হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা ম্যাক্সিমিলিয়ান বলিং জানান, “বিষয়টা খুবই মর্মান্তিক”। প্রতিবেশী হিদার জোনস-এর মতে, “এটা একটা রহস্য, আমরা সবাই হতবাক।” ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মার্ক হোহনার জানিয়েছেন, তিনি “ফায়ার ক্র্যাকারের” মতো শব্দ শুনেছেন, এবং একটি কালো পাখি, সম্ভবত একটি স্টারলিং পাখি, শব্দ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যায়।
তবে, এই ঘটনার সঙ্গে তাদের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে প্যাসিফিক গ্যাস অ্যান্ড ইলেকট্রিক কোম্পানি (পিজিএন্ডই)। তারা জানিয়েছে, পাখিগুলোর শরীরে বিদ্যুতায়িত হওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পিজিএন্ডই আরও জানিয়েছে, তারা ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অফ ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ-কে এই ঘটনার তদন্ত করতে বলেছে। কোম্পানিটি মনে করে, পাখিগুলোর মৃত্যু আঘাতের কারণে হয়েছে, যা সম্ভবত গুলি বা অন্য কোনো অস্ত্রের দ্বারা সৃষ্ট।
বর্তমানে, স্থানীয় পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে এবং ঘটনার আসল কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে। এই রহস্যজনক ঘটনার জেরে রিচমন্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস