“দ্য লাস্ট অফ আস” (The Last of Us) -এর দ্বিতীয় সিজনের গতি নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। জনপ্রিয় এই সিরিজটি, যা একই নামের ভিডিও গেমের ওপর ভিত্তি করে তৈরি, বর্তমানে দর্শক এবং সমালোচকদের একাংশকে হতাশ করেছে।
অনেকের মতে, সিরিজের বর্তমান গল্প বলার ধরণ মূল বিষয় থেকে সরে যাচ্ছে।
গল্পের শুরুতে জোয়েলের মৃত্যু দর্শকদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু এরপর, সিরিজের গতি কমে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিশেষ করে, সিরিজের প্রধান চরিত্র এলি’র প্রতিশোধের গল্প বলার ধরনে অনেকে বিরক্ত। গল্পের এই অংশে অপ্রয়োজনীয় কিছু বিষয় যোগ করা হয়েছে, যা মূল কাহিনি থেকে দর্শকদের মনোযোগ সরিয়ে নিচ্ছে।
উদাহরণস্বরূপ, এলি’র গিটার বাজানো এবং গান করা নিয়ে তৈরি হওয়া দৃশ্যগুলো অনেক দর্শকের কাছে বিরক্তিকর মনে হয়েছে। তাদের মতে, এটি সিরিজের মূল বিষয়বস্তু, যেমন – ধ্বংসস্তূপের মধ্যে টিকে থাকার গল্প, থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
আলোচনায় উঠে এসেছে, সিরিজের পরবর্তী মৌসুম, যেখানে অ্যাবি নামের একটি চরিত্রের ওপর প্রধান্য দেওয়া হবে।
যদিও গেমের অনুসারীরা এই চরিত্রটির বিষয়ে অবগত, তবে অনেকেই মনে করছেন যে, জোয়েলের মৃত্যুর পর গল্পের মোড় নেওয়াটা বেশ কঠিন হতে যাচ্ছে। কারণ, অ্যাবি চরিত্রটি অনেকের কাছেই বিতর্কিত।
সিরিজের নির্মাতারা জানিয়েছেন, তৃতীয় সিজনের নির্মাণকাজ সম্ভবত ২০২৫ সাল থেকে শুরু হবে এবং এটি মুক্তি পেতে ২০২৭ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
এই দীর্ঘ অপেক্ষার কারণে দর্শকদের মধ্যে আগ্রহ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সমালোচকদের মতে, সিরিজের বর্তমান পরিস্থিতি দর্শকদের মধ্যে হতাশাবোধ তৈরি করছে। অনেকে মনে করছেন, গল্পের দুর্বল গতি এবং অপ্রয়োজনীয় দৃশ্যের অবতারণা দর্শকদের ধরে রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে।
তবে, নির্মাতারা জানিয়েছেন, গল্পের এই অংশটি সম্ভবত পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার জন্য একটি প্রস্তুতিস্বরূপ।
যদিও অনেক দর্শক এই পরিবর্তনের সঙ্গে একমত হতে পারছেন না। তারা চান, সিরিজের মূল আকর্ষণ, অর্থাৎ ধ্বংসের পরে মানুষের টিকে থাকার গল্প, সেটির ওপর আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া হোক।
সব মিলিয়ে, “দ্য লাস্ট অফ আস” -এর দ্বিতীয় সিজনের বর্তমান পরিস্থিতি দর্শকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
সিরিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা এখনো চলছে।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান