A Reality TV Show On Former Child Stars-Turned Addicts Seeking Recovery. What Could Go Wrong? (Exclusive)
বিনোদন জগতের ঝলমলে দুনিয়ার আড়ালে লুকিয়ে থাকা কিছু কঠিন বাস্তবতার গল্প নিয়ে একটি নতুন উপন্যাস, যা বর্তমানে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
‘ওয়ান ইন ফোর’ (One in Four) নামের এই উপন্যাসটি লিখেছেন লুসিণ্ডা বেরি। যেখানে খ্যাতি আর সাফল্যের শিখরে পৌঁছেও মাদকাসক্তিতে জীবন অতিষ্ঠ হওয়া প্রাক্তন তারকাদের নিয়ে একটি রিয়েলিটি শোয়ের গল্প বলা হয়েছে।
উপন্যাসটির মূল বিষয়বস্তু হলো, এক ঝাঁক প্রাক্তন শিশু শিল্পী, যারা তাদের তারুণ্যের আলো থেকে দূরে সরে গিয়েছেন, এবং এখন মাদকাসক্তির সঙ্গে লড়াই করছেন। তাদের জীবনযাত্রা ক্যামেরাবন্দী করে একটি রিয়েলিটি শো নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়।
কিন্তু এরই মধ্যে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। ক্যামেরার সামনেই মারা যান প্রতিযোগী ম্যাডি। এরপরই যেন সব ওলট-পালট হয়ে যায়।
গল্পের কেন্দ্রে রয়েছেন ড. লরেল হারলো। তিনি একজন রাসায়নিক আসক্তি বিষয়ক পরামর্শদাতা। রিয়েলিটি শোয়ের পরিচালক এবং হারলোর মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত সম্পর্ক রয়েছে।
ম্যাডির মৃত্যুর পর হারলোর জীবনেও আসে এক কঠিন পরিস্থিতি। কারণ, এই ঘটনার সঙ্গে তার পুরোনো কিছু গোপন বিষয় জড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়।
উপন্যাসে, ক্রিস্টাল মেডোজ নামের একটি বাড়িতে এই রিয়েলিটি শোয়ের শুটিং চলছিল। বাড়িটির প্রতিটি কক্ষে ছিল ক্যামেরা। ঘটনার দিন, গভীর রাতে ম্যাডির বাথরুম থেকে বের হওয়ার দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দী হয়।
এর কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যু হয়, যা ক্যামেরায় ধরা পরে। এই দৃশ্য সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পরে, যা নির্মাতাদের জন্য বিশাল উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ম্যাডির মৃত্যুর পর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। পুলিশের পাশাপাশি, গণমাধ্যমকর্মীরাও ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। ঘটনার ভয়াবহতা এতটাই ছিল যে, সবাই হতবাক হয়ে যান।
লেখিকা লুসিণ্ডা বেরি-র এই উপন্যাসটি খ্যাতি, মাদকাসক্তি এবং মিডিয়ার প্রভাবের মতো বিষয়গুলো নিয়ে নতুন করে ভাবতে উৎসাহিত করে।
একজন মানুষের জীবনের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করার নৈতিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলে এই উপন্যাস।
বাংলাদেশেও এ ধরনের রিয়েলিটি শো তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে, তবে সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করা জরুরি।
কারণ, আমাদের সমাজে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা এবং সংবেদনশীল বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
কোনো ঘটনার দৃশ্য ধারণ করে তা প্রচার করা হলে, তা অনেক সময় আইনি জটিলতাও তৈরি করতে পারে।
আশা করা যায়, ‘ওয়ান ইন ফোর’ উপন্যাসটি পাঠকদের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করবে এবং একইসঙ্গে বিনোদন জগতের ভেতরের অনেক অজানা দিক সম্পর্কে ধারণা দেবে।
তথ্য সূত্র: পিপল