যুক্তরাষ্ট্রে এক প্রাক্তন স্কুলকর্মীর বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্রায়ান ওয়ের নামক ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি নিউইয়র্কের একটি স্কুলের কর্মচারী ছিলেন।
অভিযোগ উঠেছে, তিনি শিশুদের যৌন নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে তা অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
বুধবার, ১৪ই মে, সাফোক কাউন্টি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি’র অফিস থেকে জানানো হয়, লিন্ডেনহার্স্ট স্কুল জেলার প্রাক্তন কর্মচারী ব্রায়ান ওয়েরকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আনা হয়েছে ১১৩টি গুরুতর অভিযোগ।
ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রেমন টিয়ারনি এক বিবৃতিতে জানান, “শিশু নির্যাতনের ভয়াবহতা ছাড়াও, অভিযুক্ত ব্যক্তি এই জঘন্য কাজগুলো রেকর্ড করেছেন এবং সেই ভিডিও অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
প্রতিটি ভিউ এবং শেয়ারের মাধ্যমে শিশুদের পুনরায় ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা শিশুদের শোষণ ও ক্ষতি করে এমন ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
তদন্তে জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্রায়ান ওয়ের শিশুদের যৌন নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে তা গুগলে আপলোড করেছিলেন।
এই তথ্যের ভিত্তিতে, ৩০শে এপ্রিল সাফোক কাউন্টি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ডিজিটাল ফরেনসিক্স ইউনিট তদন্ত শুরু করে। এরপর একই দিনে ওয়েরের লিন্ডেনহার্স্টের বাড়িতে অভিযান চালানো হয় এবং তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায়, ফোনে শিশুদের যৌন নির্যাতনের বেশ কয়েকটি ভিডিও ও ছবি ছিল।
পুলিশ জানায়, ওয়েরের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন কাজে ব্যবহার করা, শিশুদের যৌন নির্যাতনের ভিডিও তৈরি ও প্রচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এছাড়াও, তার বিরুদ্ধে শিশুদের ক্ষতিসাধন এবং প্রথম-ডিগ্রি যৌন নির্যাতনের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।
আদালতে ওয়ের তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বর্তমানে তিনি প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বন্ডে আটক রয়েছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫২ কোটি টাকার সমান।
আগামী ২০শে জুন তার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
যদি কারো কাছে এই ঘটনার সাথে সম্পর্কিত কোনো তথ্য থাকে, তবে সাফোক কাউন্টি ডিজিটাল ফরেনসিক্স ইউনিটের সাথে ৬৩১-৮৫২-৬২৭৯ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
শিশু নির্যাতনের বিষয়ে সন্দেহ হলে, চাইল্ডহেল্প ন্যাশনাল চাইল্ড অ্যাবিউজ হটলাইন-এ (১-৮০০-৪-এ-চাইল্ড অথবা ১-৮০০-৪২২-৪৪৫৩) ফোন করে সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া, www.childhelp.org ওয়েবসাইটেও ভিজিট করা যেতে পারে।
এই হটলাইনটি ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে এবং ১৭০টির বেশি ভাষায় সহায়তা পাওয়া যায়।
এই প্রতিবেদনটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।