ইউরোপের সঙ্গীত জগতে আবারও বাজিমাত, আর এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে একজন অস্ট্রিয়ান-ফিলিপিনো শিল্পী। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের বেসেলে অনুষ্ঠিত হওয়া ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতায় ১১ বছর পর অস্ট্রিয়ার জন্য বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন জেজে (JJ)।
‘ওয়েস্টেড লাভ’ শিরোনামের একটি গানের মাধ্যমে তিনি জয়লাভ করেন, যেখানে দেশের সমৃদ্ধ সঙ্গীত ঐতিহ্য এবং আধুনিকতার এক অপূর্ব মিশ্রণ দেখা গেছে।
ইউরোভিশন, ইউরোপের সবচেয়ে বড় গানের উৎসবগুলোর মধ্যে অন্যতম, যা সারা বিশ্বজুড়ে ১৬ কোটিরও বেশি দর্শক উপভোগ করেছেন। এবারের আসরে ইসরায়েলের প্রতিযোগী দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন।
তবে, ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়, যা ছিল ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতের প্রতিচ্ছবি। প্রতিযোগিতায় ইসরায়েলের অংশগ্রহণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়, যেখানে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় অনেককে।
জেজে, যাঁর আসল নাম জোহানেস পিয়েচ, তাঁর অসাধারণ কণ্ঠ এবং গানের মাধ্যমে জয়ী হয়েছেন। তাঁর ‘ওয়েস্টেড লাভ’ গানটি ছিল ভালোবাসার গভীর অনুভূতি নিয়ে, যা শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যায়।
গানটি তৈরিতে জেজেকে সহায়তা করেছেন টিওডোরা স্পিরিচ এবং থমাস টার্নার। জয়ের পর জেজে বিশ্বজুড়ে আরো ভালোবাসার আহ্বান জানান।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর ক্রিশ্চিয়ান স্টোকার জেজের এই জয়কে সঙ্গীতের ইতিহাসে নতুন দিগন্ত উন্মোচন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। একইসঙ্গে, অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেইটে মেইনল-রাইসিংগার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জেজেকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “আপনি আপনার কণ্ঠ দিয়ে ইউরোপকে জয় করেছেন।
ফিলিপাইনের কনস্যুলেট জেনারেলও জেজের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছে।
প্রতিযোগিতায় যুক্তরাজ্যের দল ‘রিমেম্বার মানডে’ তাদের পরিবেশনার জন্য প্রশংসা কুড়িয়েছে। তবে, ব্রিটিশ জনগণের ভোটে ইসরায়েল ১২ পয়েন্ট অর্জন করে।
এই বছর ইউরোভিশনে ৩৭টি দেশ অংশগ্রহণ করে, যাদের মধ্যে ফাইনালের মঞ্চে ছিল ২৬টি দেশ।
আসন্ন বছর ইউরোভিশন প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে অস্ট্রিয়া। জেজে চান, এই উৎসব যেন তাঁর জন্মস্থান ভিয়েনাতে অনুষ্ঠিত হয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান