নিউ ইয়র্কের এক তরুণ শিল্পী সাবরিনা বার্নস্টেইন, যিনি তাঁর প্রতিভার মাধ্যমে শহরবাসীর জীবনকে ক্যামেরাবন্দী করেছেন, বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। ম্যানহাটনের একটি ফায়ার এস্কেপ থেকে তিনি সাধারণ পথচারীদের স্কেচ করেন, যা পরে ভাইরাল হয়েছে। এই শিল্পকর্মের মাধ্যমে তিনি নিউ ইয়র্কের জীবনযাত্রার একটি চিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন, যা দর্শক ও পাঠকদের মন জয় করেছে।
চব্বিশ বছর বয়সী সাবরিনা, পেশায় একজন সহকারী সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার, তাঁর শিল্পীসত্ত্বাকে টিকিয়ে রেখেছেন স্কেচিংয়ের মাধ্যমে। তাঁর মতে, স্কেচিং তাঁর চিন্তাগুলোকে শান্ত করে এবং মনোযোগ বাড়াতে সাহায্য করে। তিনি বলেন, “স্কেচিং একমাত্র জিনিস যা আমার মনকে শান্ত করে।
বার্নস্টেইনের এই কাজটি মূলত একটি শখের মতো শুরু হলেও, এখন এটি তাঁর দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশে পরিণত হয়েছে। তিনি বিশেষভাবে তাদের স্কেচ করেন, যারা তাঁদের পোশাক এবং স্টাইলের মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রকাশ করেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর ভিডিওগুলি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। একটি ভিডিওতে ৬০ লক্ষেরও বেশি ভিউ হয়েছে। এই সাফল্যের পরে, তিনি বিভিন্ন পণ্য, যেমন – ওয়ালপেপার, টিোট ব্যাগ এবং কালারিং বইয়ের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
তাঁর আঁকা ছবিগুলো খুব শীঘ্রই কেনা যাবে এবং তিনি তাঁর কাজ নিয়ে একটি আর্ট গ্যালারি বা বই তৈরির পরিকল্পনা করছেন। ব্রুকলিনের এই শিল্পী মনে করেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি শহরের মানুষের সঙ্গে আরও বেশি সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন।
সাবরিনার মতে, শহরের মানুষের গতিশীলতা এবং বৈচিত্র্য তাঁকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে। তাঁর কথায়, “আমরা সবাই আমাদের নিজস্ব গল্পের চরিত্র। তবে যখন কয়েকজন মানুষ একই ফ্রেমে আসে, তখনই শহরের চিত্র ফুটে ওঠে, যা বিশেষভাবে আকর্ষণীয়।
তিনি আরও মনে করেন, তাঁর স্কেচগুলি শহরের মানুষের ‘অমরত্ব’ এনে দেয়।
বার্নস্টেইন আশা করেন, তাঁর শিল্পকর্ম দর্শকদের চারপাশে থাকা মানুষগুলোকে আরও ভালোভাবে উপলব্ধি করতে উৎসাহিত করবে। তাঁর এই কাজ নিউ ইয়র্ক শহরের জীবনযাত্রার একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যা একইসঙ্গে শিল্প এবং সমাজের প্রতিচ্ছবি।
তথ্য সূত্র: পিপল