ছোট্ট শিশুর চিবুকের নিচে র্যাশ (চামড়ার ফুসকুড়ি) দেখাতে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন এক তরুণী মা।
ডাক্তার যখন দেখছিলেন, তখন মা তার মোবাইল ফোন দিয়ে বাচ্চার মনোযোগ আকর্ষণ করছিলেন।
তা দেখে ডাক্তার অভিভাবকত্বের বিষয়ে একটি পরামর্শ দেন, যা শুনে মা বেশ বিরক্ত হন।
সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি অনলাইন প্যারেন্টিং ফোরামে (অভিভাবকত্ব বিষয়ক আলোচনা মঞ্চ) এই ঘটনাটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়, যেখানে মা তার অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
বিষয়টি হলো, ডাক্তার কোনো অনুরোধ ছাড়াই বাচ্চাকে মোবাইল ফোন দেখাতে নিষেধ করেন।
মা জানান, বাচ্চার মুখ পরীক্ষার জন্য তিনি যখন মোবাইল দিয়ে বাচ্চার মনোযোগ আকর্ষণ করছিলেন, তখন ডাক্তার এই মন্তব্য করেন।
মায়ের মতে, ডাক্তারের এই ধরনের মন্তব্য করাটা “অপ্রয়োজনীয় এবং উদ্ধতপূর্ণ” ছিল।
ফোরামের অন্যান্য সদস্যরা এই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন।
তাদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, মায়ের এত বিরক্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তাদের মতে, ডাক্তার হয়তো ভালো কিছু বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন।
তবে, কয়েকজন সদস্যের মতে, ডাক্তারের এই ধরনের পরামর্শ দেওয়াটা কিছুটা বিরক্তিকর ছিল।
আলোচনাটিতে অনেকে তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন।
কেউ কেউ মনে করেন, ডাক্তারের পরামর্শটিকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত ছিল।
তাদের মতে, একজন ডাক্তার সবসময় রোগীর ভালোর জন্য কিছু বলতে পারেন।
আবার অনেকে মনে করেন, ডাক্তার হয়তো তার পেশাগত দায়িত্বের বাইরে গিয়ে কথা বলেছেন, যা একজন মা হিসেবে মেনে নেওয়া কঠিন।
বর্তমানে শিশুদের মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।
অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম (মোবাইল ফোন বা টিভির দিকে তাকিয়ে থাকা) শিশুদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই, ডাক্তার হয়তো সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই মা’কে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এই ঘটনার মাধ্যমে অভিভাবকদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এসেছে।
তা হলো, শিশুদের প্রতি কিভাবে আরও ভালোভাবে মনোযোগ দেওয়া যায় এবং তাদের সুস্থ ভবিষ্যতের জন্য কি ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
আমাদের সমাজে শিশুদের স্বাস্থ্য ও বিকাশের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপলস