গোলাম আজম ইরাদ।
২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার মসজিদে অত্র মাদ্রাসার মোতামিন মুফতি মাসুদুর রহমানের আহবানে সৌদি আরব থেকে আগত বাংলাদেশী বংশদ্ভুত মেহমান গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন। তিনি বাচ্চাদের দ্বীনি শিক্ষা প্রদানের গুরুত্ব এবং সঠিক পথে পরিচালনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে গভীর আলোচনা করেন।
বয়ানে তিনি বলেন, “একজন যদি সঠিকভাবে দ্বীনি শিক্ষা গ্রহণ করে এবং তার ওপর আমল করে, তবে সে শুধু নিজেই উপকৃত হবে না বরং তার মাধ্যমে অন্যরাও লাভবান হবে। সন্তানরা নেক আমল করলে এর প্রতিদান মা-বাবার কাছেও পৌঁছাবে। এজন্য ছোটবেলা থেকেই তাদের সঠিক শিক্ষা দিতে হবে।”
তিনি উল্লেখ করেন, “তোমরা ভালো কাজে একে অপরকে সহযোগিতা করো, অন্যায় কাজে কখনো সহায়ক হয়ো না। আমরা সন্তানদের যে শিক্ষা দেব, তারা বড় হয়ে তা-ই লালন করবে। তাই ভালো শিক্ষা এবং আদর্শ চরিত্র গঠনের জন্য সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও বলেন, “দ্রুত শেখার প্রবণতা থেকে বিরত থাকা উচিত। শেখার জন্য জান্নাতি আদর্শের মানুষের সহচর্যে থাকতে হবে। বাচ্চাদের বড়দের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে, কারণ বড়দের অভিজ্ঞতা তাদের জীবনে বড় ভূমিকা রাখবে।”
বয়ানের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, “আমাদের সন্তানদের ভালো মানের দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। রাসুলের যুগে চাকচিক্যপূর্ণ মসজিদ না থাকলেও মানুষ খেজুরপাতার মসজিদে দিন শিখে সৎ জীবন যাপন করত। আমাদেরও সেই আদর্শ অনুসরণ করতে হবে।”
তিনি দেশের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, “মানুষের প্রতি মানুষের মহব্বত এবং সহমর্মিতা তৈরি করা আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেখা যায় না। এজন্য আমাদের সন্তানদের আদর-স্নেহ এবং নৈতিক শিক্ষা দিয়ে বড় করতে হবে।”
তিনি মুসলিম মায়েদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনারা সন্তানদের সুরা ফাতিহা শেখান এবং সঠিকভাবে তা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।”
বয়ানের শেষে তিনি মক্কা মুকাররমার মেহমান হিসেবে উপস্থিতিতে ৭ জন ছাত্রকে হেফজুল কোরআনের শবক দেন।
এই বয়ানটি উপস্থিত মুসল্লিদের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলেছে। সবাই সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন হন। সৌদি মেহমানের আরবি বয়ান বাংলায় রূপান্তরিত করে দেন জামিয়া রহমানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতি মাসুদুর রহমান