কলকাতা শহরের ব্যস্ত রাস্তাঘাটে হেঁটে চলাচলের সময় অনেককেই নানান সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে যখন দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর তাড়া থাকে, তখন ধীর গতিতে হাঁটা মানুষের কারণে বেশ অসুবিধা সৃষ্টি হয়।
ফুটপাত হোক কিংবা কোনো জনবহুল স্থান, দ্রুতগামী পথচারীদের জন্য ধীরগতির মানুষেরা অনেক সময় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আমাদের দেশে, বিশেষ করে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের মতো শহরগুলোতে, যানজট একটি পরিচিত সমস্যা। এর সাথে যুক্ত হয় রাস্তার পাশে মানুষের অবাধ বিচরণ।
অফিস টাইমে যখন সবাই দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে চায়, তখন ধীর পায়ে হাঁটা অথবা রাস্তার পাশে এলোমেলোভাবে ঘোরাঘুরি করা মানুষের কারণে যানজট আরও বাড়ে। অনেক সময় দেখা যায়, বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মানুষেরা তাদের জিনিসপত্র নিয়ে এমনভাবে হাঁটেন যে অন্যদের চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি হয়।
গণপরিবহনের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা দেখা যায়। বাসস্টপ কিংবা রেলস্টেশনে যখন দ্রুত ট্রেনে ওঠার বা বাসে সিট পাওয়ার জন্য দৌড়াদৌড়ি চলে, তখন ধীরগতির মানুষেরা অন্যদের জন্য চরম বিরক্তির কারণ হয়।
দ্রুত টিকিট কাটার লাইনে অথবা প্ল্যাটফর্মে হেঁটে যাওয়ার সময়, ধীরগতির পথচারীদের কারণে অনেক সময় মূল্যবান সময় নষ্ট হয়।
তবে, সবারই যে দ্রুত হাঁটা উচিত, এমনটা নয়। সকালে পার্কে বা খোলা জায়গায় হেঁটে শরীরচর্চা করা কিংবা বন্ধুদের সাথে গল্প করতে করতে ধীরে ধীরে হাঁটা – এগুলো অবশ্যই উপভোগ করার মতো বিষয়।
কিন্তু যখন দ্রুত কোনো স্থানে পৌঁছানোর প্রয়োজন, তখন অন্যদের কথা বিবেচনা করে হাঁটার গতি বজায় রাখা উচিত।
সুতরাং, শহরের রাস্তায় হাঁটার সময় আমাদের প্রত্যেকেরই সচেতন হওয়া প্রয়োজন। সবার সুবিধার জন্য, দ্রুত গন্তব্যে যেতে চাওয়া মানুষের প্রতি সম্মান জানানো এবং অন্যদের চলাচলের পথে বাধা সৃষ্টি না করাই বাঞ্ছনীয়।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান