ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানলের অভিজ্ঞতা এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক ভাবনা নিয়ে গবেষণা করেছেন অভিনেত্রী জেনিফার গার্নারের মেয়ে ভায়োলেট অ্যাফ্লেক। বর্তমানে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠরত ভায়োলেট সম্প্রতি একটি গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন, যেখানে তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়াবহ দাবানলের সময় তার নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন।
একইসঙ্গে কোভিড-১৯ মহামারীর সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপগুলোর তুলনা করেছেন তিনি।
গত জানুয়ারিতে লস অ্যাঞ্জেলেসের প্যাসিফিক প্যালিসাডেস অঞ্চলে ভয়াবহ দাবানল হয়। সেই সময় মা জেনিফার গার্নারের সঙ্গে একটি হোটেলে ছিলেন ভায়োলেট।
পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়। ভায়োলেট তার গবেষণাপত্রে লিখেছেন, মা জেনিফার গার্নার ধ্বংসের ভয়াবহতা দেখে বিস্মিত হয়েছিলেন।
কিন্তু ভায়োলেটের মনে হয়েছিল, একজন ‘ক্লাইমেট-লিটারেট’ তরুণ প্রজন্মের সদস্য হিসেবে তার কাছে পরিস্থিতিটা ছিল আগে থেকেই অনুমেয়। পরিবেশ পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের ঘটনা যে আরও ঘটবে, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত ছিলেন।
শুধু মা-ই নন, ১৩ বছর বয়সী ছোট ভাই স্যামুয়েলের সঙ্গেও তার এই বিষয় নিয়ে কথা হয়। ভাই স্যামুয়েল জানতে চেয়েছিল, “বৈশ্বিক উষ্ণতার সঙ্গে কি বাতাসের গতির কোনো সম্পর্ক আছে?”
ভায়োলেট মনে করেন, জলবায়ু সংকট সম্পর্কে সম্ভবত তার ছোট ভাইয়ের চেয়ে আমরা অনেকেই ভালো বুঝি।
গবেষণাপত্রে ভায়োলেট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হওয়া দুর্যোগ এবং বায়ুবাহিত রোগ প্রতিরোধের জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলোর মধ্যে তুলনা করেছেন। তিনি মনে করেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সচেতনতা এবং প্রতিবন্ধী মানুষেরা যে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন, জলবায়ু বিজ্ঞানীদেরও সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত।
এর আগে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি বোর্ড অফ সুপারভাইজার্স-এর একটি মিটিংয়েও যোগ দিয়েছিলেন ভায়োলেট। সেখানে তিনি কোভিড-১৯ প্রতিরোধের জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলো নিয়ে কথা বলেন।
মাস্ক পরার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন তিনি।
ভায়োলেটের মা জেনিফার গার্নার সব সময়ই মেয়ের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, তিনি তার মেয়ের জন্য গর্বিত।
২০২৩ সালের এপ্রিলে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জেনিফার গার্নার আরও বলেন, তিনি তার সন্তানদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল