বরিশালে এক যুবকের বিয়ের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত, এমন সময় ঘটলো এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। ছেলের বাগদত্তা, তার “আনুগত্য” পরীক্ষা করার জন্য অনলাইনে একটি ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করেন।
এরপর যা হলো, তা রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে। ছেলের বাবা, ছেলের প্রতি এই অপ্রত্যাশিত আচরণ এবং বাগদত্তার এই কৌশলগত পদক্ষেপের কারণে বিবাহে আর্থিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় সম্প্রতি, যখন ২৩ বছর বয়সী ওই যুবক তার বাবার কাছে স্বীকার করেন যে তিনি একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে অন্য একটি মেয়ের সাথে বার্তালাপ করেছেন। বিষয়টি জানার পরেই ছেলের বাবা বেশ বিস্মিত হন।
কারণ, তার ছেলে তো বিবাহিত জীবনের দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।
আসল ঘটনা আরও জটিল। জানা যায়, ওই ডেটিং প্রোফাইলটি তৈরি করেছিলেন ছেলের বাগদত্তা। তিনি ছেলের আনুগত্য পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন।
যখন ছেলেটি সেই ভুয়া প্রোফাইলের সাথে ফ্লার্ট করতে শুরু করে, তখন তিনি তাকে সরাসরি বিষয়টি জানান।
ছেলের বাবার মতে, ছেলের এই আচরণ অবশ্যই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে তিনি আরও বেশি অবাক হয়েছেন বাগদত্তার এই পরিকল্পনা দেখে।
তিনি মনে করেন, “সম্পর্ক যদি মিথ্যা ও প্রতারণার ওপর ভিত্তি করে শুরু হয়, তবে সেই বিয়ে সমর্থন করা উচিত নয়।” তাই তিনি ছেলের বিয়ের জন্য আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছেন।
তবে পরিবারের অন্য সদস্যরা বাবার এই সিদ্ধান্তে ভিন্নমত পোষণ করেছেন। তাদের মতে, তিনি “অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া” দেখাচ্ছেন এবং ছেলে-মেয়ে উভয়ের প্রতি অবিচার করছেন।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও আলোচনা চলছে। অনেকে মনে করছেন, এই পরিস্থিতিতে তাদের বিয়ে করা উচিত নয়।
আবার কেউ কেউ মনে করেন, বাগদত্তার সন্দেহ করার যথেষ্ট কারণ ছিল। কারণ, বিয়ের প্রস্তুতি চলার সময় অন্য কোনো মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়ানোটা স্বাভাবিক নয়।
এই ঘটনার জেরে বিয়ের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। অনেক পরিবারে বিয়ের আগে ছেলে-মেয়ের সম্পর্কের গভীরতা যাচাই করার জন্য বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
তবে এই ঘটনার মাধ্যমে অনলাইনে সম্পর্কের জটিলতা এবং তার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
তথ্য সূত্র: পিপল