শিরোনাম: সমকামীদের জন্য নতুন আশা: জোনাথন ভ্যান নেস ও জুলি মারফির কলমে “লেট দেম স্টেয়ার”
ছোট শহরগুলোতে বেড়ে ওঠা সমকামী তরুণ-তরুণীদের নিজেদের গল্প শোনাতে এক নতুন উপন্যাস নিয়ে এসেছেন লেখক জোনাথন ভ্যান নেস এবং জুলি মারফি।
বইটির নাম “লেট দেম স্টেয়ার”, যেখানে একজন তরুণীর আত্ম-অনুসন্ধানের গল্প ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এই উপন্যাসটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে তাদের জন্য, যারা সমাজের চোখে নিজেদের ভিন্নভাবে খুঁজে পান।
“লেট দেম স্টেয়ার” বইটির প্রধান চরিত্র সালি, পেনসিলভানিয়ার একটি ছোট শহরে বেড়ে ওঠা ১৮ বছর বয়সী একজন তরুণী, যে কিনা তার লিঙ্গপরিচয় নিয়ে প্রচলিত ধারণার বাইরে। সালি শহরটি ছেড়ে পালাতে চায়, কিন্তু অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটনার কারণে সে পালাতে পারে না।
এরপর, একটি পুরনো দোকানে সে একটি ভিনটেজ ব্যাগ খুঁজে পায়, যেটির মধ্যে ১৯৫০ দশকের একজন ড্রাগ পারফর্মারের আত্মা বন্দী। রুফাস নামের সেই আত্মার সঙ্গে সালির বন্ধুত্ব হয় এবং তাদের এই যাত্রা চলতে থাকে। এই গল্পের মাধ্যমে সালি আবিষ্কার করে যে তার শহরটিতেও হয়তো তার জন্য অনেক কিছু অপেক্ষা করছে।
এই উপন্যাসটি লেখার ধারণাটি আসে জোনাথন ভ্যান নেসের একটি ব্যাগ কেনার অভিজ্ঞতা থেকে। তিনি কল্পনা করেন, যদি এই ব্যাগটির সঙ্গে কোনো ভুতুড়ে সম্পর্ক থাকত, তবে কেমন হতো! এরপর তিনি জনপ্রিয় লেখক জুলি মারফির সঙ্গে মিলিত হন এবং শুরু হয় তাদের একসঙ্গে পথচলা।
উপন্যাসটি লেখার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে জোনাথন ভ্যান নেস বলেন, “জুলি ছিলেন একজন অসাধারণ শিক্ষক, যিনি আমাকে আমার কণ্ঠস্বর খুঁজে পেতে সাহায্য করেছেন।” অন্যদিকে, জুলি মারফি জানান, “আমরা দুজনেই এই গল্পের মালিক।
আমরা একে অপরের শক্তিকে কাজে লাগিয়েছি।” লেখকদের মতে, এই বইটির মূল উদ্দেশ্য হলো তরুণ পাঠকদের একটি ভিন্ন পথের সন্ধান দেওয়া।
সমাজের প্রচলিত ধারণার বাইরে গিয়ে কীভাবে নিজের পরিচয়কে গ্রহণ করা যায়, সে বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। তারা চান, এই বই তরুণ-তরুণীদের মধ্যে আত্ম-অনুসন্ধান এবং আত্ম-স্বীকৃতির সাহস জোগাবে।
বিশেষ করে, যারা ছোট শহর বা গ্রামীণ পরিবেশে নিজেদের খুঁজে পায়, তাদের জন্য এই গল্পটি একটি দৃষ্টান্ত হতে পারে।
বইটির নামকরণের বিষয়ে লেখকরা বলেন, “লেট দেম স্টেয়ার” – এর অর্থ হলো, অন্যদের কৌতূহলকে ভয় না করে, বরং নিজের পরিচয়ে অবিচল থাকা।
জোনাথন এবং জুলি চান, তাদের এই উপন্যাসটি যেন সমাজের চোখে ভিন্নভাবে পরিচিত তরুণ-তরুণীদের জন্য একটি অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
“লেট দেম স্টেয়ার” বইটি বর্তমানে বইয়ের দোকানগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে।
তথ্য সূত্র: পিপল