বন্ধুত্বের পথে ট্যাটু: দুই তরুণীর দ্বিধা
বর্তমান যুগে, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ট্যাটু আঁকার প্রবণতা বাড়ছে। এটি এখন আর কোনো বিদ্রোহ বা বিশেষ গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, বরং ফ্যাশন এবং আত্ম-প্রকাশের একটি মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয় হচ্ছে।
তবে, বন্ধুত্বের উদযাপন বা ভালোবাসার চিহ্ন হিসেবে ট্যাটু আঁকার ধারণাটি অনেকের কাছেই বেশ আকর্ষণীয়। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা নিয়ে আলোচনা চলছে, যেখানে দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাদের সম্পর্কের গভীরতা বোঝাতে একই ধরনের ট্যাটু আঁকতে চাইছে, কিন্তু দ্বিধা রয়েছে একজনের মনে।
মার্নি এবং কাদির বয়স இருশ বছর। তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একসঙ্গে ভ্রমণে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে।
ভ্রমণের স্মৃতি হিসেবে মার্নি প্রস্তাব করেছে, তারা দু’জন একই ধরনের ট্যাটু আঁকবে। মার্নি এই ব্যাপারে বেশ উৎসাহী। সে এরই মধ্যে একটি নকশাও তৈরি করেছে, যেখানে জল এবং বন্ধুত্বের প্রতীকী কিছু বিষয় রয়েছে।
মার্নির মতে, ট্যাটু তাদের বন্ধুত্বের একটি স্থায়ী চিহ্ন হয়ে থাকবে। সে চায়, এই ভ্রমণের স্মৃতি সবসময় তাদের মনে থাকুক।
অন্যদিকে, কাদির মনে দ্বিধা রয়েছে। প্রথমে রাজি থাকলেও, পরে সে তার বাবা-মাকে বিষয়টি জানায়। তার বাবা-মা’র আপত্তির কারণে কাদির দ্বিধা আরও বেড়েছে।
তারা মনে করেন, ট্যাটু কর্মজীবনে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়াও, থাইল্যান্ডের ট্যাটু পার্লারের স্বাস্থ্যবিধি নিয়েও তাদের উদ্বেগ রয়েছে।
কাদির দ্বিধাগ্রস্ত হওয়ার কারণ হলো, ট্যাটুর ভবিষ্যৎ নিয়ে তার অনিশ্চয়তা। সে চায়, ভ্রমণের সময় সবকিছু দেখে, সেখানকার পরিবেশ বুঝে তারপর সিদ্ধান্ত নিতে।
এই বিষয়ে অনলাইনে পাঠকদের মতামত জানতে চাওয়া হলে, অনেকেই কাদির দ্বিধা সমর্থন করেছেন। তাদের মতে, ট্যাটু একটি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।
বন্ধুদের মধ্যে ভালোবাসার প্রকাশ আরও অনেকভাবে সম্ভব।
বন্ধুত্ব এবং শরীরের উপর ট্যাটুর এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে, মার্নি ও কাদীর মধ্যেকার দ্বিধা অনেকের কাছেই পরিচিত মনে হতে পারে। বিশেষ করে, আমাদের সমাজে বাবা-মায়ের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রবণতা বেশি।
তাই, এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে চিন্তা করা এবং নিজের অনুভূতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া জরুরি। বন্ধুত্বের গভীরতা বোঝাতে ট্যাটু আঁকা যেতে পারে, তবে তার আগে নিজের ভেতরের দ্বিধা দূর করা প্রয়োজন।
আপনার কী মনে হয়? মার্নি ও কাদীর এই দ্বিধাদ্বন্দ্বের সমাধান কী হওয়া উচিত?
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান