বিখ্যাত অভিনেত্রী জুলিয়া স্টাইলস, যিনি “সেভ দ্য লাস্ট ডান্স” এবং “টেন থিংস আই হেট অ্যাবাউট ইউ”-এর মতো চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেছেন, সম্প্রতি তার কর্মজীবন, চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন। চলচ্চিত্র জগতে তার যাত্রা, বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা এবং পরিচালকদের সঙ্গে কাজের স্মৃতিচারণ করেছেন তিনি।
পেশাগত জীবনে, স্টাইলস পল গ্রিনগ্রাসের মতো খ্যাতিমান পরিচালকের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেছেন। গ্রিনগ্রাসের চিত্রগ্রহণের বিশেষ পদ্ধতি, যা ডকুমেন্টারি স্টাইলের কাছাকাছি, তা নিয়ে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। এই ধরনের কাজের মাধ্যমে তিনি অনেক কিছু শিখেছেন এবং একজন অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করেছেন।
কমেডি চরিত্রে অভিনয়ের প্রসঙ্গে স্টাইলস জানান, তিনি এই ধরনের চরিত্রে কাজ করতে খুবই পছন্দ করেন। “আমি মনে করি, মানুষকে হাসানোটা একটা দারুণ অভিজ্ঞতা,” তিনি বলেন। কমেডি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তার জন্য খুবই আনন্দের ছিল। সম্প্রতি একটি ক্রিসমাস কমেডিতে কাজ করার অভিজ্ঞতাও তিনি শেয়ার করেছেন।
“সেভ দ্য লাস্ট ডান্স” ছবিতে নাচের জন্য তার প্রস্তুতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে স্টাইলস জানান, তিনি এই ছবির জন্য নাচের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। যদিও তিনি আগে ব্যালে, আধুনিক নৃত্য এবং অন্যান্য নাচের ক্লাস করেছেন, তবে এই ছবির জন্য তাকে আরও নিবিড়ভাবে প্রস্তুতি নিতে হয়েছিল। মা হারানোর বেদনা নিয়ে একটি দৃশ্যে অভিনয় করার সময় তিনি তার কল্পনাশক্তির সাহায্য নিয়েছিলেন, যা দর্শকদের হৃদয়ে গভীর রেখাপাত করে।
অভিনয়ের পাশাপাশি, স্টাইলস পড়াশোনাতেও মনোযোগী ছিলেন। তিনি ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এই বিষয়ে তার পড়াশোনা তাকে গল্প বলার কৌশল শিখতে সাহায্য করেছে, যা পরবর্তীতে তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র “উইশ ইউ ওয়ার হিয়ার”-এর কাজে লেগেছে।
পরিচালনা প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, বাজেট সীমাবদ্ধতা নিয়ে পরিচালক ডগ লিমানের পরামর্শ তার জন্য খুবই মূল্যবান ছিল। এছাড়াও, তিনি তার বন্ধু এবং সহকর্মীদের কাছ থেকেও পরামর্শ নিয়েছেন।
“ডেক্সটার” সিরিজে তার চরিত্র লুুমেন এবং “রিভিয়েরা” সিরিজের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা নিয়েও তিনি কথা বলেছেন। “ডেক্সটার”-এ তার চরিত্রটি ছিল অন্ধকার থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রতীক, যা দর্শকদের কাছে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল।
নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে স্টাইলস নিউ ইয়র্কের পিৎজার প্রতি তার ভালোবাসার কথা জানান। তিনি বলেন, নিউ ইয়র্কের পিৎজা তার খুবই প্রিয়, এবং তিনি বিভিন্ন দেশে গিয়ে সেখানকার পিৎজার স্বাদ গ্রহণ করেন। খাবারের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, লন্ডনে কাজ করার সময় তিনি সানডে রোস্ট উপভোগ করতেন।
সবশেষে, “টেন থিংস আই হেট অ্যাবাউট ইউ” ছবিতে তার অভিনীত একটি দৃশ্যের কথা উল্লেখ করে, তিনি বলেন, “আমি তোমায় ঘৃণা করি” – এই সংলাপটি দর্শকদের হৃদয়ে গেঁথে আছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান