ক্যালিফোর্নিয়ার এক সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। সরকারি ক্ষতিপূরণের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তাঁর বিচার শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, ঐ পুলিশ কর্মকর্তা, নিকোল ব্রাউন, আহত হওয়ার পর অসুস্থতাজনিত কারণে কর্ম থেকে ছুটি নিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, তিনি এই ছুটির সুযোগ নিয়েছেন এবং এর মাধ্যমে ছয় লক্ষ মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এই ঘটনায় ব্রাউনের সৎ বাবার বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০২২ সালে ডিউটিরত অবস্থায় এক সন্দেহভাজনকে আটকের সময় মাথায় আঘাত পান নিকোল ব্রাউন। এরপর তিনি চিকিৎসা ছুটি নেন।
সরকারি নিয়মানুযায়ী, আহত কর্মীর চিকিৎসার সমস্ত খরচ সরকার বহন করে এবং তিনি পুরো বেতন পান। কিন্তু তদন্তে জানা যায়, ব্রাউন অসুস্থতাকালীন সময়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন, যা তাঁর অসুস্থতার দাবির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।
অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাউন এপ্রিল ২০২৩-এ স্টেজকোচ সঙ্গীত উৎসবে যান। সেখানে তিনি বন্ধুদের সাথে আনন্দ-ফুর্তি করেছেন।
এছাড়া, তিনি ডিজনিল্যান্ডে গিয়েছেন, বিভিন্ন খেলাধুলা করেছেন, এবং অনলাইনে কোর্সও করেছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, তিনি যে অসুস্থতার কারণে কর্মে যোগ দিতে পারছিলেন না বলে দাবি করেছিলেন, তার সঙ্গে তাঁর এইসব কার্যকলাপের কোনো মিল ছিল না।
এই ঘটনার তদন্তে ব্রাউনের সৎ বাবা পিটার শুম্যানের নামও আসে। তিনি পেশায় একজন আইনজীবী।
অভিযোগ উঠেছে, ব্রাউনকে মিথ্যা দাবি করতে তিনি সাহায্য করেছেন। ঘটনার পর ব্রাউনের হয়ে তিনি একটি মিটিংয়েও অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে ব্রাউনের শারীরিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়।
ঐ মিটিংয়ে ব্রাউন জানান, তিনি কম্পিউটারে কাজ করতে পারেন না এবং তাঁর চোখে দেখতে সমস্যা হয়।
এই মামলায় ব্রাউনের বিরুদ্ধে ১৫টি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া এবং বীমা সুবিধার জন্য জালিয়াতি করা।
দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর সর্বোচ্চ ২২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। অন্যদিকে, পিটার শুম্যানের বিরুদ্ধে জালিয়াতির সহায়তার অভিযোগ আনা হয়েছে এবং তাঁর আট বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে।
এই ঘটনা সরকারি অর্থ আত্মসাতের একটি গুরুতর উদাহরণ। একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে এমন প্রতারণা সত্যিই নিন্দনীয়।
আমাদের দেশেও এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধ করা জরুরি। সরকারি কর্মকর্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে না পারলে জনগণের অর্থের অপচয় হবে এবং এর ফলস্বরূপ ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ।
তথ্য সূত্র: পিপল