জার্মানিতে, একটি বিড়াল হারিয়ে যাওয়ার পর তাকে খুঁজে বের করতে এক দম্পতি প্রায় ২২,০০০ ডলারের বেশি খরচ করেছেন।
হারিয়ে যাওয়া বিড়ালটিকে ফিরে পাওয়ার জন্য তাদের এই অবিরাম চেষ্টা সত্যিই ভালোবাসার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। খবরটি জানিয়েছে টাইমস পত্রিকা।
জানা যায়, ২০২২ সালের জুলাই মাসে ‘নেরো’ নামের একটি কালো বিড়াল এরলাঞ্জেন শহর থেকে হারিয়ে যায়।
নেরোর মালিক রাফাল এবং মনিকা ক্লাজনস্মিট তাদের প্রিয় বিড়ালটিকে ফিরে পেতে উঠেপড়ে লেগেছেন। তারা ইতিমধ্যেই অনেক টাকা খরচ করেছেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৫ লাখ টাকার বেশি।
নিরুদ্দেশ হওয়ার আগে নেরোর বুকে সাদা একটি দাগ ছিল এবং তার চোখ দুটি ছিল হালকা সবুজ রঙের।
জানা গেছে, বিড়ালটি তাদের পরিবারের সঙ্গে একটি গাড়িতে করে ভ্রমণ করার সময় পালিয়ে যায়। এরপরেই শুরু হয় তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা।
রাফাল জানান, তারা প্রতি সপ্তাহান্তে প্রায় ৪৮০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তাদের বাড়ি এশভেগ থেকে এরলাঞ্জেনে যান শুধু নেরোর খোঁজে।
তারা শহরের আনাচে-কানাচে পোস্টার লাগিয়েছেন, এমনকি আটটি জায়গায় খাবার রেখে ক্যামেরা স্থাপন করেছেন, যাতে নেরো খাবার খেতে এলে তাদের নজরে আসে।
যদিও ক্যামেরায় অন্যান্য বিড়ালদের খাবার খেতে দেখা গেছে, কিন্তু তাদের প্রিয় নেরোর দেখা এখনো মেলেনি।
রাফাল জানান, “নেরো আমার কাছে অনেক প্রিয়। সে আমার বন্ধু, পরিবারের সদস্য। আর বন্ধুদের এভাবে একা ফেলে রাখা যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি হাল ছাড়ছি না। আমি জানি সে এখনো বেঁচে আছে।”
এই দম্পতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘নেরো – আইন বাব ভোরলরেন ইন এরলাঞ্জেন’ নামে একটি ফেসবুক পেজও খুলেছেন, যার অর্থ ‘এরলাঞ্জেনে হারানো একটি ছেলে’। এই পেজে ইতোমধ্যে ৩৯০০ জন ফলোয়ার এবং ২৪০০ লাইক জমা হয়েছে।
রাফালের মতে, নেরো একটু লাজুক প্রকৃতির হওয়ায় তাকে খুঁজে বের করা কঠিন হচ্ছে।
তিনি বলেন, “সমস্যা হলো, সে খুবই লাজুক। সে সহজে মানুষের কাছে যায় না।”
রাফাল আরও জানান, নেরোকে একটি মাইক্রোচিপ লাগানো হয়েছে।
যদি তার কিছু হয়ে যেত, তাহলে তারা অবশ্যই জানতে পারতেন।
যদি কেউ নেরোকে খুঁজে পান, তাহলে বিড়ালটিকে নিরাপদে রাখার জন্য এবং পশুচিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়ে মাইক্রোচিপটি পরীক্ষা করার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এর মাধ্যমে অন্যান্য হারিয়ে যাওয়া বিড়ালদেরও খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল