ওয়াশিংটন ডিসি’র একটি জাদুঘরের বাইরে দুই ইসরায়েলি দূতাবাসের কর্মীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৩১ বছর বয়সী এলিয়াস রদ্রিগেজকে প্রথম-ডিগ্রি হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে। খবরটি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
গত ২১শে মে, বুধবার, ওয়াশিংটন ডিসি’র ক্যাপিটাল জুয়িশ মিউজিয়ামের বাইরে গুলিবিদ্ধ হন সারাহ মিলগ্রাম এবং ইয়ারন লিসকিনস্কি নামের ওই দুইজন। তারা দুজনেই ইসরায়েলি দূতাবাসের কর্মী ছিলেন এবং তাদের মধ্যে বিয়ের পরিকল্পনাও চলছিল।
মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগ (এমপিডি) জানায়, ঘটনার দিন রাত ৯টার দিকে তারা গুলির খবর পান। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে, তবে তাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত রদ্রিগেজের বিরুদ্ধে ফেডারেল ও স্থানীয় উভয় পর্যায়ে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশি কর্মকর্তাদের হত্যা, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে মৃত্যু ঘটানো এবং সহিংস অপরাধের সময় অস্ত্র ব্যবহার ইত্যাদি। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ১৮ই জুন এই মামলার প্রাথমিক শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
ঘটনার দিন জাদুঘরের বাইরে রদ্রিগেজকে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। এরপর তিনি চারজনের একটি দলের দিকে এগিয়ে যান এবং তাদের ওপর গুলি চালান।
ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রদ্রিগেজকে গ্রেপ্তারের সময় “ফিলিস্তিন মুক্ত” বলে চিৎকার করতে শোনা যায়।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি এই ঘটনাকে “বর্বর, ইহুদি বিদ্বেষী সহিংসতা” হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের দেশে বা সভ্যতার কোথাও এর কোনো স্থান নেই।”
পুলিশ জানিয়েছে, রদ্রিগেজ একাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং ঘটনার সময় ব্যবহৃত অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল