বিখ্যাত লেখক অ্যান্ড্রু হান্টার মারে, যিনি ‘এ বিগিনার্স গাইড টু ব্রেকিং অ্যান্ড এন্টারিং’ বইটির জন্য পরিচিত, সম্প্রতি তাঁর প্রিয় কিছু বই এবং সাহিত্যচর্চা নিয়ে কথা বলেছেন। বই পড়ার প্রতি তাঁর গভীর অনুরাগের কথা জানিয়ে তিনি জানিয়েছেন, কীভাবে কিছু বই তাঁর জীবন ও লেখক জীবনকে প্রভাবিত করেছে।
ছোটবেলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে মারে জানান, তাঁর প্রথম বই পড়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল ব্রায়ান জ্যাকসের ‘রেডওয়াল’ বইটি দিয়ে। এর বিষয়বস্তু ছিল বীর সন্ন্যাসী ইঁদুরদের সাথে অত্যাচারী ইঁদুরদের যুদ্ধ। এরপর ডগলাস অ্যাডামসের ‘দ্য হিচহাইকার্স গাইড টু দ্য গ্যালাক্সি’ বইটি ছিল তাঁর কৈশোরের প্রিয়।
তরুণ বয়সে কেন কিসির ‘ওয়ান ফ্লু ওভার দ্য কুক্কুস নেস্ট’ বইটি তাঁর চিন্তাভাবনার জগৎকে নাড়িয়ে দেয়। এছাড়াও, জলবায়ু বিজ্ঞানী হানা রিচির ‘নট দ্য এন্ড অফ দ্য ওয়ার্ল্ড’ বইটি পড়ার পর তিনি পৃথিবীর ভবিষ্যৎ নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি আশাবাদী হয়েছেন। লেখকের মতে, জন উইন্ডহামের ‘দ্য ক্র্যাকেন ওয়েকস’ বইটি তাঁকে লেখক হতে অনুপ্রাণিত করেছে।
চার্লস ডিকেন্সের লেখার ভক্ত অ্যান্ড্রু হান্টার মারে। এমনকি, ‘ব্লীক হাউস’ -এর কিছু অংশ ট্রেনে বসে পড়ার সময় তাঁর চোখে জল এসে গিয়েছিল। জেন অস্টিনের ‘প্রাইড অ্যান্ড প্রেজুডিস’ তাঁর অন্যতম প্রিয় বই। বইটি তিনি বহুবার পড়েছেন এবং প্রতিবারই নতুন করে আবিষ্কার করেন। এই লেখকের মতে, বইটি থেকে এখনো অনেক কিছু শেখার আছে।
অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং টনি শোয়ার্টজের লেখা ‘আর্ট অফ দ্য ডিল’ বইটি তিনি আর পড়তে চান না। মাঝেমধ্যে তিনি পার্সিফোন প্রকাশনীর বইগুলো পড়েন, যেখানে মূলত বিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ের লেখিকাদের বই প্রকাশিত হয়। এছাড়াও, পি. জি. ওডহাউসের লেখা তাঁর খুবই প্রিয়।
বর্তমানে তিনি মিক হেরনের ‘স্লাফ হাউস’ সিরিজটি পড়ছেন। বইগুলো তাঁর কাছে দারুণ উপভোগ্য মনে হয়েছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান