শিরোনাম: সামাজিক মাধ্যমে ব্যক্তিগত ছবি: বন্ধুত্বের সম্পর্কে ফাটল
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টি আবারও আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি, এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে যেখানে এক তরুণী তাঁর রুমমেটের বিরুদ্ধে, যিনি তাঁর বাল্যকালের বন্ধু ছিলেন, ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার অভিযোগ এনেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, যখন ওই তরুণী (২৪) দেখেন তাঁর রুমমেট (২৫) তাঁদের ফ্ল্যাটের ছবি ও ভিডিও, তাঁর ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং এমনকী ঘুমের ছবিও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করছেন। তিনি জানান, তাঁর বন্ধু সবকিছুই সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করতে পছন্দ করেন, যা তাঁর ভালো লাগে না।
তাঁর আপত্তির পরেও, যখন বন্ধুটি তাঁর ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কিত ভিডিও পোস্ট করা বন্ধ করেননি, তখন তিনি একটি কঠোর পদক্ষেপ নেন।
ওই তরুণী জানান, তিনি তাঁর বন্ধুর কাছে এই বিষয়ে জানতে চান এবং পোস্ট করা বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু বিষয়টি সেখানেই থেমে থাকেনি।
পরবর্তীতে, তিনি যখন টিকটকে একটি ভিডিও খুঁজে পান যেখানে তাঁর বেডরুম, ঔষধপত্র এবং ঘুমের দৃশ্যও ছিল, তখন তিনি চূড়ান্ত হতাশ হন। এর প্রতিকার হিসেবে, তিনি তাঁর বন্ধুর অজান্তে ওয়াইফাই (WiFi) পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করেন এবং তাঁর ডিভাইসগুলো সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
একইসঙ্গে, তিনি জানান যে, ওই ভিডিওগুলো ডিলিট না করা পর্যন্ত তিনি পাসওয়ার্ড ফেরত দেবেন না।
এই ঘটনার পর, তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তাঁর রুমমেট বাড়ি ছেড়ে মায়ের কাছে চলে যান এবং বন্ধুদের কাছে ওই তরুণীকে “মানসিক রোগী” হিসেবে অভিহিত করেন।
এমনকি, তাঁর বিরুদ্ধে ঈর্ষাকাতর হওয়ার অভিযোগও আনেন। এই ঘটনায় তাঁদের পারস্পরিক বন্ধুদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে, অনেকেই তরুণীর পদক্ষেপকে সমর্থন করেছেন। তাঁদের মতে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষা করা প্রতিটি মানুষের অধিকার।
আবার কেউ কেউ মনে করেন, ওয়াইফাই বন্ধ করে দেওয়াটা ছিল চরম পদক্ষেপ।
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে, ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। সবারই উচিত, অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা থেকে বিরত থাকা এবং পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে সম্পর্ক বজায় রাখা।
তথ্য সূত্র: পিপল