মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক হেলিকপ্টারের সাথে পেন্টাগনের যোগাযোগ কিছু সময়ের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল, যার ফলস্বরূপ ওয়াশিংটন ডিসি’র কাছে একটি বিমানবন্দরে দুটি বাণিজ্যিক বিমানের অবতরণ বাতিল করতে হয়। এই ঘটনাটি মার্কিন বিমান চলাচলে নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
খবরটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিমান চলাচল নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এপি’র (AP) সূত্রে জানা যায়, ১লা মে তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারের সাথে পেন্টাগনের সংযোগ প্রায় ২০ সেকেন্ডের জন্য বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর ফলে, কাছাকাছি অবস্থিত রোনাল্ড রেগান ওয়াশিংটন ন্যাশনাল বিমানবন্দরে (যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’র কাছাকাছি অবস্থিত) দুটি বাণিজ্যিক বিমানের জরুরি অবতরণ বাতিল করতে হয়।
এই ঘটনার কয়েক মাস আগে, একই বিমানবন্দরের কাছে একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল, যেখানে ৬৭ জন নিহত হন। ঐ ভয়াবহ দুর্ঘটনার পর, বিমান নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।
সামরিক হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে, একটি অস্থায়ী কন্ট্রোল টাওয়ারের অ্যান্টেনা এমন স্থানে স্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে হেলিকপ্টারটি ওড়ার সময় তার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ম্যাথিউ ব্রামান (Brig. Gen. Matthew Braman) এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, নতুন কন্ট্রোল টাওয়ার নির্মাণের সময় এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং বর্তমানে অ্যান্টেনাটি পেন্টাগনের ছাদে স্থাপন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (FAA) এবং ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের (NTSB) প্রাক্তন তদন্তকারী জেফ গাজেত্তি (Jeff Guzzetti) বলেছেন, ১লা মে তারিখে বাণিজ্যিক বিমানগুলোর অবতরণ বাতিল করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল।
তার মতে, সেনাবাহিনী যেন তাদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি আরও বলেন, “আমার মনে হয়, পরিস্থিতি এত সরল নয়।
ঘটনাটির প্রাথমিক প্রতিবেদনে, একজন এফএএ কর্মকর্তা suggestion দিয়েছিলেন যে, সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারটি সম্ভবত “ভ্রমণে” ছিল। তবে, সেনাবাহিনীর সরবরাহ করা তথ্য অনুযায়ী, হেলিকপ্টারটি তাদের নির্ধারিত পথ অনুসরণ করছিল।
ডেল্টা এয়ারলাইন্সের একটি এয়ারবাস এ৩১৯ (Airbus A319) বিমানের অবতরণ বাতিল করা হয়েছিল, কারণ বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা বুঝতে পেরেছিলেন যে ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টারটি এবং বিমানটি প্রায় একই সময়ে পেন্টাগনের কাছাকাছি চলে আসবে।
বর্তমানে, কর্তৃপক্ষ এই অঞ্চলের বিমান চলাচল নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর করার কথা ভাবছে।
তথ্য সূত্র: পিপল