মোঃ মেহেদী হাসান, কাউখালি প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের কাউখালীতে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ(৩য় পর্যায়ে) প্রকল্প স্থানীয় সরকার বিভাগ,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে,পিরোজপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায়,কাউখালী উপজেলা গ্রাম আদালত সক্রিয় করণে,স্থানীয় সরকার শাখার ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও হিসাব সহকারী গণের ২ ঘন্টা ব্যাপী অবহিত মান উন্নয়ন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৯ শে জানুয়ারি(রবিবার) ২০২৫ তারিখ, সকাল ১০ টায় উপজেলার অডিটরিয়াম হল রুমে ৫টি ইউনিয়নের ৪ জন সচিব ও ৫ জন হিসাব সহকারী, মোট ৯ জনকে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে স্বল্প সময়ে,স্বল্প খরচে,সঠিক বিচার পেতে মামলার বিষয় অবহিতকরণ ও নিষ্পত্তি বিষয়ে ১০টি প্রশ্নোত্তর পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়।
উক্ত গ্রাম আদালত সক্রিয় করণে হিসাব সহকারী ও ইউপি সচিবগণের পরীক্ষা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্বজল মোল্লার নির্দেশনায়, সুদীপ্ত দেবনাথ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর উপস্থিতিতে এবং পারভীন আক্তার,উপজেলা গ্রাম আদালত সমন্বয়কারীর সহযোগিতায়, সার্বিক নিরাপত্তা ও স্বচ্ছতার সহিত সকাল ১০ থেকে দুপুর ১২ পর্যন্ত, ৯জন পরীক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বাস্তবায়ন করা হয়।
এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণে,বিচারক কার্য পরিচালনায় চেয়ারম্যান ও আবেদনকারী এবং প্রতিবাদীর পক্ষ থেকে ১জন ইউপি সদস্য ও ১ জন গন্যমান্য ব্যক্তি সহ মোট ৫ জন বিচারকার্য পরিচালনা করবেন। এ ছাড়াও ইউনিয়ন সচিবগণ বিচার কার্যক্রমে সহায়ক এবং হিসাব সহকারীগণ পেশকারের দায়িত্ব পালন করবেন। ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের অভিযোগ গ্রহণ করতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ অনুযায়ী স্থানীয়ভাবে বিরোধের সহজ ও দ্রুততম আদালত। এখানে দরিদ্র, প্রতিবন্ধী,ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কোন আইনজীবী বিহীন স্বল্প সময়ে স্বল্প খরচে বিবাদ নিষ্পত্তির সুযোগ রয়েছে। এখানে ফৌজদারি ও দেওয়ানী মামলা বিরোধের,ধর্ষণ, খুন,অপহরণ,ডাকাতি, যৌতুক, নারী ও শিশু নির্যাতন,স্থাবর সম্পত্তি ব্যতিরেকে যেকোনো সমস্যার সমাধানে অনধিক ৩ লক্ষ টাকা মূল্যমানের নিষ্পত্তি করার সুযোগ রয়েছে। গ্রাম আদালতে ফৌজদারি মামলা জন্য ১০ টাকা ও দেওয়ানী মামলার জন্য ২০ টাকা ফিস প্রদানের মাধ্যমে দাখিল করা যাবে। বর্তমানে কাউখালী উপজেলায় গ্রাম আদালতে ১০২টি মামলার ৯৫ টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং ৭ টি মামলা চলমান রয়েছে।
গ্রাম আদালত সক্রিয় করণে যারা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন,১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়ন সচিব মোঃ আতিকুল্লা দিদার ও হিসাব সহকারী-শিনচন মুখার্জী। ২নং আমরাজুড়ি ইউনিয়ন সচিব,কপিল চন্দ্র মিস্ত্রী ও হিসাব সহকারী-মোঃ রাসেল হোসেন। ৩নং সদর ইউনিয়ন সচিব,আসুতোষ বড়াল ও হিসাব সহকারী-সাহিন আলম শেখ। ৪ নং চিড়াপাড়া ও ৫নং শিয়ালকাঠি ইউনিয়ন সচিব, মোঃ সুমন সিকদার ও হিসাব সহকারী-মোঃ মেহেদী হাসান। ৫নং শিয়ালকাঠি হিসাব সহকারী- তরিকুল ইসলাম সাঈদ।