শিরোনাম: বিড়ালকে সাথে নিয়ে চাকরি ছেড়ে সমুদ্রে পাড়ি, হাওয়াই দ্বীপে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন আমেরিকান যুবক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্পোরেট জগৎ থেকে এক তরুণ, অলিভার উইডগার, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগের কারণে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি তার আদরের বিড়াল, ফিনিক্সকে সঙ্গে নিয়ে সমুদ্রপথে পাড়ি জমান।

ওরেগন থেকে যাত্রা শুরু করে, প্রায় তিন সপ্তাহ পর হাওয়াই দ্বীপে পৌঁছানোর পর সেখানকার বাসিন্দারা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন।

২৯ বছর বয়সী উইডগারের এই দুঃসাহসিক যাত্রা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যাত্রা শুরুর আগে থেকেই তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অনুসারীর সংখ্যা ছিল ১৮ লক্ষ।

হাওয়াই দ্বীপের ওয়াইকিকি ইয়ট ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪শে মে, শনিবার তিনি ও ফিনিক্স যখন ওআহু দ্বীপে পৌঁছান, তখন তাদের স্বাগত জানাতে সেখানে অসংখ্য মানুষের সমাগম হয়।

উইডগার এবং ফিনিক্সকে অভিনন্দন জানাতে সমুদ্রপথে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় বেশ কয়েকটি নৌকা। ইয়ট ক্লাবটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই বিশেষ মুহূর্তটি স্মরণীয় করে রাখতে তারা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।

ইয়ট ক্লাব তাদের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছে, “আমরা অত্যন্ত গর্বিত, অলিভার। আপনার এই অসাধারণ যাত্রাপথে আমাদের প্রথম গন্তব্য হতে পেরে আমরা সম্মানিত।”

অনুষ্ঠানস্থলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ইয়ট ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুষ্ঠানের শুরু হওয়ার ৪৫ মিনিট আগে থেকেই সেখানে মানুষের আনাগোনা শুরু হয়ে যায়।

সাংবাদিক, উইডগারের ভক্ত এবং হাওয়াইয়ের গভর্নর জশ গ্রিনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে লাইভ সঙ্গীত, হুলানৃত্য এবং উপহার সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। উইডগার জানান, এত মানুষের ভালোবাসায় তিনি অভিভূত।

দীর্ঘ সমুদ্রযাত্রার পর সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে তার কিছুটা অসুবিধা হচ্ছিল।

উইডগার জানান, “আমার মনে হয়, অনেকেই তাদের কর্মজীবনে এতটাই ব্যস্ত যে জীবনের আসল আনন্দ থেকে তারা দূরে চলে যায়। সবাই কেবল টিকে থাকার জন্য লড়ছে, যা মানুষকে ক্লান্ত করে তোলে।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আমার মনে হয়, মানুষ এখন বুঝতে পারছে যে অন্যভাবেও জীবন কাটানো সম্ভব।”

অনুষ্ঠান শেষে উইডগার তার অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, “আজকের দিনটা ছিল অসাধারণ। আমি এখনও সবকিছু গুছিয়ে উঠতে পারিনি।

যারা এখানে এসেছেন, তাদের সকলকে ধন্যবাদ। যাদের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি, তাদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। এখানে এত মানুষ ছিল!”

তথ্য সূত্র: পিপল